মদ্যপ হয়ে গাড়ি দুর্ঘটনা, ধৃত আইআইটি-র শিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে পরপর দু’টি দুর্ঘটনায় ৪ জনকে জখম করেছেন আইআইটি’র এক শিক্ষক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা ও তাঁর আড়াই বছরের শিশুকন্যাও। রবিবার রাতেই প্রদীপ ভৌমিক নামে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মদ খেয়ে গাড়ি চালানো ক্রমেই ‘সামাজিক ব্যাধি’ হয়ে যাচ্ছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ‘কড়া শাস্তি’র কথাও বলেছেন বিচারপতি। সোমবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে প্রদীপবাবু অবশ্য জামিন পেয়ে যান। সরকারি আইনজীবী অর্ধেন্দু সাহা বলেন, “উনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।” |
 |
অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদীপ কুমার ভৌমিক। —নিজস্ব চিত্র |
রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আইআইটি-র ক্যাম্পাসের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে সংলগ্ন প্রেমবাজারের বাড়িতে ফিরছিলেন আইআইটি’র ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে’র শিক্ষক প্রদীপবাবু। সেই সময় তিনি দেবব্রত অঘধিকারী নামে হিজলির এক বাসিন্দার মোটরবাইকে ধাক্কা দেন। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েন দেবব্রতবাবুর স্ত্রী শিবানী ও আড়াই বছরের মেয়ে দেবলীনা। তিন জনই চোট পান। প্রদীপবাবুর গাড়ির কাচ ভাঙে। তারপরেও বেপরোয়া ভাবে চালাতে থাকেন তিনি। প্রেমবাজারের কাছে আর এক মোটর সাইকেল আরোহী অঙ্কুর সিংহকেও ধাক্কা মারেন তিনি। অঙ্কুরবাবু বলেন, “ওই শিক্ষক এতটাই মদ্যপ ছিলেন যে, গাড়ির ভিতরে বমি করেছিলেন। আমার বেশি লাগেনি। ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলি।” রাত ১২টার পরে থানায় অভিযোগ করেন অঙ্কুরবাবু। দেবব্রতবাবু ও স্ত্রী-মেয়েকে প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সোমবার তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। দেবব্রতবাবু আইআইটি-রই একটি প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মী। অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে আইআইটি-র রেজিস্ট্রার তপনকুমার ঘোষাল বলেন, “প্রদীপবাবু অসুস্থ থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে উনি মদ্যপ ছিলেন না।” |
|