শেষ হয়নি কাজ
দুঃস্থদের বাড়ি প্রকল্পে ফিরে যেতে পারে বরাদ্দ
রিদ্র নাগরিকদের জন্য বাড়ি তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা ফেরত চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কেন শেষ হল না ওই প্রকল্পের কাজ? রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিধাননগরে জমির অভাব রয়েছে। জায়গা কিছু থাকলেও তা দখল হয়ে গিয়েছে। এক জায়গায় পুনর্বাসন দিলে মানুষেরই লাভ হত। কেন তাঁদের বোঝানো গেল না, বুঝতে পারছি না।” যদিও তাঁর দাবি, “আশা ছাড়িনি। চেষ্টা করছি, যাতে ওই প্রকল্পের কাজ এগোনো যায়। একান্ত না হলে অন্যত্র ওই অর্থ ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করতে হবে।”
কিন্তু যে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ করা হল, দ্বিতীয় পর্যায়ে তা আটকে গেল কী করে?
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “জমির অভাব। সরকারি জমি দখল হয়ে আছে। যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা জায়গা ছাড়তে নারাজ। এ ছাড়া, জমি সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণ নেই। এই অবস্থায় কাজ এগোনো যায়নি। তবে টাকা ফেরত যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কাছে যাবে ওই টাকা।”
জমি নিয়ে জটিলতা থাকলে প্রথম পর্যায়ের কাজ কী ভাবে হল?
পুরকর্মীদের একাংশের দাবি, বাম আমলে হওয়া প্রথম পর্যায়ের কাজের সময়ে জমির জটিলতা সংক্রান্ত বিষয় এড়িয়েই কাজ হয়েছিল। পাশাপাশি, তখন প্রকল্পের আওতায় বাড়ি তৈরির খরচ ছিল কম, যা দ্বিতীয় পর্যায়ে বেড়ে যায়।
পুরসভা সূত্রের খবর, ‘২০০৬ থেকে বেসিক সার্ভিস ফর দ্য আর্বান পুওর’ (বিএসইউপি) প্রকল্পের আওতায় বিধাননগর পুরসভার সংযুক্ত এলাকায় তৎকালীন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে গরিব মানুষের বাড়ি বানানোর প্রকল্প শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে তৈরি হয় ১৬২টি বাড়ি। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর কথা ছিল ২০০৯ আর্থিক বছরে, যার মেয়াদ চলতি আর্থিক বছর পর্যন্ত। সেই হিসেবে বরাদ্দ হয় ১৩ কোটি টাকা। কিন্তু সে টাকা খরচ করা যায়নি। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেই টাকা ফেরত চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া, এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, তাঁদের দিতে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাকি টাকা দিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে এক লক্ষ টাকা মূল্যের বাড়ির দাম বেড়ে যায়। ফলে আগে যারা ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন, তাঁদের এখন দিতে হবে অনেক বেশি। তাই অনেকেই আর রাজি হননি। পাশাপাশি, জমি কার তা নিয়েও রয়েছে জটিলতা। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, জায়গা আছে। জায়গা তুলনায় কম হলে এক জায়গায় অনেকের বাড়ির সংস্থান করা হোক।
পুরসভার বর্তমান বিরোধী দলনেত্রী তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের ইলা নন্দীর দাবি, “এলাকায় সব বাসিন্দার কাছে জমির কাগজ নেই। কিন্তু তাঁরা অনেক দিন ধরে বসবাস করছেন। আমাদের আমলে সমস্যা বিবেচনায় রেখেই প্রকল্প কার্যকর করেছিলাম। কিন্তু যাঁদের জমির কাগজ নেই, তৃণমূল পুরবোর্ড তাঁদের এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করতে রাজি নয়।” বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, গরিব মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান তৃণমূল পুরবোর্ড।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিধাননগর টাউন তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, “গরিব মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি প্রয়োজন। কিন্তু এই দফতর আমার নয়, চেয়ারপার্সনের। তাই প্রকল্প কেন হল না, তা বলতে পারব না।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.