আয়ের দিক দিয়ে ইনফোসিসকে ছাড়িয়ে গেল কগনিজ্যান্ট। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাসে কগনিজ্যান্টের মোট আয় ২১% বেড়ে ছুঁয়েছে ১৭৯ কোটি ডলার। সংস্থার দাবি, চলতি বছরের শেষে তাদের মোট আয় হবে কমপক্ষে ৭৩৪ কোটি ডলার। উল্লেখ্য, কগনিজ্যান্টের আর্থিক বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর।
এপ্রিল থেকে জুনে ইনফোসিস মোট আয় করেছে ১৭৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ কগনিজ্যান্টের থেকে ৪ কোটি ডলার কম। এর ফলে টাটা কলসালট্যান্সির পর অন্তত আয়ের দিক থেকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল কগনিজ্যান্ট। গত বছরই কগনিজ্যান্ট উইপ্রোকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
ভারতে ব্যবসা করলেও কগনিজ্যান্ট এ দেশের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত নয়। তারা ন্যাসড্যাকে নথিবদ্ধ সংস্থা। তবে সংস্থার ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কর্মী ভারতেই নিযুক্ত।
শুধু এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকেই নয়, এ বার ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধে নিজেদের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে পাকা করে নিতে কগনিজ্যান্ট বদ্ধপরিকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ইনফোসিস বা উইপ্রোর মতো সংস্থা চলতি বছরে তাদের মোট আয় কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। সেখানে কগনিজ্যান্ট ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, তাদের বার্ষিক আয় ২০% বাড়বে। তবে এর আগে মে মাসেই সংস্থা বলেছিল, গত ৪ বছরের মধ্যে এ বারই তাদের আয় কমার সম্ভাবনা আছে। তার পর থেকেই সংস্থার শেয়ার দর প্রায় ২০% পড়ে যায়। অবশ্য শেয়ার বাজার মহলের ধারণা, বিদেশে কগনিজ্যান্টের শেয়ার দর এ বার দ্রুত বাড়বে। তবে ইনফোসিসের মতো সংস্থাকে কোন জাদু বলে তাঁরা টেক্কা দিলেন, যা বছর শেষেও অব্যাহত থাকবে, সে ব্যাপারে কগনিজ্যান্ট কর্তৃপক্ষ তেমন মুখ খোলেননি। শুধু বলেছেন, তাঁদের পরিষেবার চাহিদা বেড়েছে।
এ দিকে ভারতের শেয়ার বাজার এ দিন বেশ চাঙ্গা ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সূচক বেড়েছে মূলত রিলায়্যান্সের শেয়ার দর বৃদ্ধি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা নিয়ে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ‘ভোকাল টনিক’-এর জেরে। সেনসেক্স এক লাফে ২১৫.০৩ পয়েন্ট বেড়ে বাজার বন্ধের সময়ে দাঁড়ায় ১৭,৪১২.৯৬ অঙ্কে।
এই দিন রিলায়্যান্সের শেয়ার দর ৬% বেড়ে যায়। উল্লেখ্য, কৃষ্ণা-গোদাবরী ডি-৬ প্রকল্পে তাদের বার্ষিক লগ্নির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই বৈঠকে বসছেন। তবে সূচককে উপরের দিকে তুলতে এ দিন চিদম্বরমের মন্তব্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে বলে বাজার সূত্রের খবর। চিদম্বরম বলেন, মূল্যবৃদ্ধি কমাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবে কেন্দ্র। আমেরিকায় কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সাম্প্রতিক তথ্যও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শেয়ার বাজাগুলিকে উৎসাহিত করেছে। এর প্রভাবও পড়েছে ভারতের বাজারে।
|