সকাল ৯টা ৫০*: ডেইমোসের (মঙ্গলের উপগ্রহ) কক্ষপথ
পেরিয়ে এলাম।
এক্কেবারে নিজে নিজে।
সকাল ১০টা ৩৬: ল্যাবে বসে সবাই মিলে চিনেবাদাম খাচ্ছ? আরে আমাকেও দাও। ১৯৬৪ সালে রেঞ্জার ৭ পাঠানো হয়েছিল চাঁদের ছবি তুলতে, সেই থেকেই চিনেবাদাম খাওয়ার প্রথা চলে আসছে। যাতে সব ভালয় ভালয় হয়।
সকাল ১০টা ৫৬: নিজেকে খুব হালকা লাগছে। দারুণ
গতিতে ছুটছি। |
সকাল ১১টা ৩: মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ঢুকে
পড়েছি। আতঙ্কের সাত মিনিট শুরু। ল্যাবের দেখানো পথে চলছি।
সকাল ১১টা ৭: প্যারাশু্টে ঝুলে পড়েছি। এখন গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০০ মাইল। যেতে হবে আর ৭ মাইল। আর চার মিনিট।
সকাল ১১টা ৮: তাপরোধক বর্মও আলাদা
হয়ে গেল। জমির খোঁজে এ বার রেডার কাজ করতে শুরু করবে।
সকাল ১১টা ৯: পিঠের খোলসটাও আলাদা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু তুমি (জেট প্রোপালশন ল্যাব) আর আমি। নীচে নামার পালা। গতি কমাতে এ বার রকেটগুলোও চালু হবে। |
সকাল ১১টা ১০: নিরাপদেই মঙ্গলে নামলাম। গেল ক্রেটার, আমি এখন তোমার ভিতরে!!!
সকাল ১১টা ২২: আমার তোলা প্রথম ছবি। আমার নতুন আস্তানা... মঙ্গল।
সকাল ১১টা ২৬: ভাবছ, এটা আবার কী ছবি? নাকি ভাবছ পৌঁছতেই পারিনি? ভাল করে দেখ, এটা গেল ক্রেটারের মাটিতে
আমার ছায়া।
সকাল ১১টা ৩৭: এখন আমি ছ’চাকায় দাঁড়িয়ে।
দুপুর ৩টা ২০: এ সপ্তাহের মধ্যেই আরও বড় রঙিন ছবি পাঠানোর চেষ্টা করছি। এক বার শুধু মাথা তুলে দাঁড়াই। মাথায় লাগানো ক্যামেরাটা চালু হোক।
আর একটা ছবি পাঠালাম, ধুলোয় ঢাকা নয় কিন্তু। চাকার পাশে হ্যাজক্যামে তোলা ‘রহস্যময়’ মঙ্গল!
* ভারতীয় সময় অনুসারে |