জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে স্বরূপনগরের বিভিন্ন গ্রামে। স্থানীয় শাঁড়াপুল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের রক্তে ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের জীবাণু মিলেছে। স্বরূপনগর ব্লক মেডিক্যাল অফিসার বিভাস পাঠক বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, জ্বরে আক্রান্তদের অধিকাংশই ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁদের থেকে জীবাণু ছড়াচ্ছে। গত এক মাসে জ্বর নিয়ে আসা অন্তত ২৪ জনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছে। চিকিৎসা চলছে। তবে এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।”
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরানিপুর, বালতি, দত্তপাড়া, গোবিন্দপুর, নিমতলা, কৈজুড়ি, দামআটি এবং হাকিমপুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার একটা বড় অংশের মানুষ কাজের জন্য দিল্লি-মুম্বইয়ে যান। ঈদ উপলক্ষে তাঁরা গ্রামে ফিরেছেন। চিকিৎসকেরা জানান, অসুস্থদের অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রামে ফিরেছেন। সেখান থেকে রোগ ছড়াচ্ছে। ‘ভাইরাল ফিভার’-এও অনেকে আক্রান্ত। মাথা ঘোরা, হাত-পায়ে ব্যাথা, জ্বর সেরে যাওয়ার পরেও দুর্বলতা এই জ্বরের লক্ষণ। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শাঁড়াপুল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেকে।
শাঁড়াপুল হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিনশো মানুষ আসছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫-৩০ জনকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। গোবিন্দপুর গ্রামের সফর গাজি সেলাইয়ের কাজ করেন মুম্বইয়ে। ঈদ উপলক্ষে ফিরেছেন গ্রামে। তাঁর কথায়, “ফেরার সময় ট্রেনে উঠে দেখি গা গরম, অসহ্য ব্যাথা হচ্ছে। বাড়ি ফেরার পর থেকে ধুম জ্বর। শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। ওষুধ খেয়েও কমছে না।” কৈজুড়ির বাসিন্দা স্বপন সরকার বলেন, “পাঁচ দিন ধরে জ্বর। কিছুতেই কমছে না। খুব দুর্বল হয়ে পড়েছি।” স্থানীয় রতন দে, সফিকুল ইসলাম বলেন, “গত রাত থেকে হঠাৎ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসেছে। গ্রামের অনেকেরই এই অবস্থা।” স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “গ্রামে চিকিৎসকদের দল পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে।” |