|
|
|
|
জাতীয় সড়কে নিত্য ভোগান্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পলাশি |
হর্নের শব্দে রাস্তায় কান পাতা দায়। রাস্তা জুড়ে সার দিয়ে গাড়ির ভিড়। গাড়ির লম্বা লাইন যে কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে তা ঠাহর করা এক কথায় অসম্ভব। অফিস টাইমে বার বার ঘড়ির দিকে চোখ নিত্যযাত্রীদের। চলছে একে-ওকে পাশ কাটিয়ে এগোনোর চেষ্টাও। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পাশ কাটিয়ে এগোতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন মোটরবাইক আরোহী। রাস্তার খানাখন্দে জমে থাকা জল-কাদায় অফিসের জামার দফারফা। পথের জটে আটকে পড়েছে স্কুলের বাসও। জানলা দিয়ে মুখ বের করে যানজটের শেষ খুঁজছে কচিকাঁচারা। এ দিকে তো স্কুলের ঘণ্টা পড়ল বলে! |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
পলাশির মীরা বাজার সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের রোজকার ছবিটা এরকমই। যানজটে নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। তার উপরে সংস্কারের অভাবে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির জলের সঙ্গে সেই গর্তে জমেছে নর্দমার নোংরা জলও। সব সময়েই টইটুম্বুর রাস্তা। বেশির ভাগ দিনই গাড়ি কিংবা বাসের চাকা গর্তে বসে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
বিপাকে পড়েছেন মীরা বাজারের প্রায় হাজার খানেক ব্যবসায়ীও। বেহাল জাতীয় সড়কের এই এলাকাতেই রয়েছে পেট্রল পাম্প, গাড়ি মেরামতির দোকান, ফল-সব্জির দোকান, ওষুধের দোকান, সোনা-গয়নার দোকান। পলাশি মীরা বাজার কমিটির সম্পাদক লোকনাথ অগ্রবাল বলেন, “জাতীয় সড়ক বেহাল। ব্যবসায়ীরাও সঙ্কটে। ব্যবসা মার খাচ্ছে।” জাতীয় সড়কের পাশেই মীরা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক অসিত মণ্ডল বলেন, “দুর্ঘটনা থেকে যানজট যেন প্রাত্যহিক ঘটনায় দাঁড়িয়েছে।” মীরা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির মিন্টু মণ্ডল বলেন, “কোনও গাড়ি খারাপ হলে আমাদের স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। পরীক্ষার সময় তো আরও সমস্যা।”
এ বিষয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির প্রকল্প অধিকর্তা জগন্নাথ সামন্ত বলেন, “জাতীয় সড়কের পলাশির রাস্তার ওই অংশটুকু ছাড়া কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কোথাও খারাপ নয়। এলাকায় নিকাশির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় জল জমে জাতীয় সড়কের পিচের চাদর উঠে গিয়ে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কিছু দিন অন্তর ওই অংশের জাতীয় সড়ক সংস্কার করা হয়। তা সত্ত্বেও জল জমে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ছে। ওই রাস্তার নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|