টুকরো খবর |
হেনস্থার নালিশ ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
হেনস্থার শিকার এক মহিলা তাঁর কয়েকজন পড়শির বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ করেছিলেন। ‘হামলাকারী’ পড়শিরাও থানায় পাল্টা অভিযোগ করে জানান, ওই মহিলার চরিত্র খারাপ। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু না-করে, বিবাদী পক্ষের অভিযোগকেই গুরুত্ব দিয়ে ওই মহিলাকে চরিত্রিক-শংসাপত্র নিয়ে আসতে বলেছে পুলিশরবিবার একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
পেশায় পরিচারিকা ওই মহিলাটি ঝাড়গ্রাম শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা। গত ২৭ জুলাই কয়েকজন প্রতিবেশী ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে হেনস্থা ও মারধোর করে বলে অভিযোগ। মহিলার দাবি, থানার এক অফিসার আমাকে বলেন, “তোমার চরিত্র যে ভাল তা এলাকার বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে লিখিয়ে নিয়ে এসো।” ওই মহিলাটি সিপিএমের এক প্রাক্তন পুরপিতার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। ঝাড়গ্রাম থানার আইসি’র উদ্দেশ্যে মহিলাটি সম্পর্কে একটি চারিত্রিক শংসাপত্র লিখে দেন সিপিএমের ওই প্রাক্তন পুরপিতা। এলাকার আরও কয়েকজনের কাছ থেকে তিনি যে ‘ভাল চরিত্রের’ সেই শংসাপত্র সংগ্রহ করেছেন ওই মহিলা। ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষের বক্তব্য, “ওই মহিলা আমার কাছে কোনও অভিযোগ করেননি। এমনকী থানার আইসি’র কাছেও কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে সংবাদমাধ্যমে যে অভিযোগ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
কর্মবিরতি আলু ব্যবসায়ীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অন্য রাজ্যে আলু না-পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতি। রবিবার থেকেই কর্মবিরতি চালু হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক বরেন মণ্ডলের কথায়, “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি বড় অংশ আলু চাষের উপর নির্ভরশীল। যে আলুর বেশিরভাগটাই অন্য রাজ্যে বিক্রি করা হয়। তার জেরেই আলু চাষিরা লাভ পান। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্য রাজ্যে আলু নিয়ে যাওয়া যাবে না। তার ফলে চরম ক্ষতি হবে। যাতে চাষি, ব্যবসায়ী থেকে হিমঘরে যুক্ত সমস্ত মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।” তাই রবিবার থেকে তিন দিন টানা কর্মবিরতি করবেন ব্যবসায়ীরা। এই তিন দিন কেউই আলু কেনাবেচা করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এরপরেও রাজ্য সরকার এ বিষয়ে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে পরবর্তীকালে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর মহকুমার গড়বেতা-১, ৩ ও কেশপুর ব্লকে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়। এর বাইরে ঘাটাল মহকুমার ৫টি ব্লকেই আলু চাষ হয় বেশি। এ ছাড়াও জেলার আরও কিছু প্রান্তে আলু চাষ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, জেলায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি বস্তা আলুর ফলন হয় (প্রতিটি বস্তা ৫০ কেজি)। যার মধ্যে আড়াই কোটি বস্তা হিমঘরে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। জেলার মানুষের খাবারের জন্য ৫০ লক্ষ বস্তা আলু হলেই যথেষ্ট। বাকি আলু সংরক্ষণের জায়গা আবার নেই। এই পরিস্থিতি রাজ্যের বাইরে আলু না নিয়ে গেলে চাষি থেকে ব্যবসায়ীসকলেই সমস্যায় পড়বেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি হুগলি, বাঁকুড়া, বধর্মান জেলার চাষিরাও চরম সঙ্কটে পড়বেন।
|
বধূর অপমৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী-শ্বশুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে স্বামী-শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম থানার বয়াল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে বন্দনা পণ্ডা (২৬) নামের ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করা হয়। বন্দনার বাবা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় বন্দনার স্বামী রঞ্জন পণ্ডা ও শ্বশুর শঙ্কর পণ্ডাকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর আটেক আগে নন্দীগ্রামের বয়াল গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী রঞ্জনের সঙ্গে কোলাঘাটের আমলহান্ডা গ্রামের বন্দনার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের বছর ছয়েকের একটি ছেলে রয়েছে। শনিবার দুপুরে বাড়ির কাছে একটি পুকুরে বন্দনাদেবীর দেহ ভাসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করার পর পুলিশ ময়না-তদন্তে পাঠায়। বন্দনার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, বিয়ের পর থেকেই বন্দনার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার চালাতেন। তাঁরাই বন্দনাকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে খুন করেছেন। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, বন্দনা বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। এ দিন সকালে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বন্দনার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
|
মদের ভাটি ভেঙে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
|
ঘাটালে মদের ঘাটি ভেঙে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর।
আবগারি ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়ে একাধিক বেআইনি মদের ভাটি ভেঙে দিলেন সাধারণ মানুষ। শনিবার ঘাটাল ব্লকের মোহনপুর পঞ্চায়েতের আলুই গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। অবৈধ মদের ভাটি ভেঙে দেওয়া হবে বলে দিন পাঁচেক ধরেই এলাকায় প্রচার করছিলেন স্থানীয় শহিদ ক্ষুদিরাম ক্লাবের সদস্যরা। শনিবার এলাকাবাসীকে নিয়ে তাঁরা অভিযানে বেরোন। প্রায় ২০টির মতো ভাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে শতাধিক দেশি মদের বোতল। ক্লাবের সম্পাদক কাশিনাথ কর্মকার বলেন, “আমাদের আলুই গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতেই এই ধরনের দেশি মদ তৈরি হয়। দিনদিন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল।” এলাকার ভারতী দোলই, আরতি দোলই, মালতি রানারা বলেন, “কাজে না গিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র বিক্রি করে বাড়ির ছেলেরা নেশা করছে। প্রতিবাদ করলেই মারধর জুটত। তাই আমরা একজোট হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছি।” জেলার আবগারি দফতরের সুপার তন্ময় বিশ্বাস বলেন, “আমাদের দফতর থেকেও নিয়মিত অভিযান চলছে। এ বার আলুই গ্রামেও অভিযান চালানো হবে।”
|
আগুন জেলা পরিষদে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
মিটার বক্স থেকে শট সার্কিট হয়ে আগুল ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দফতরে। তমলুকের একটি ভাড়াবাড়িতে জেলা পরিষদের অফিস। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ আচমকাই সিঁড়িঘরের কাছে আগুন জ্বলতে দেখেন দুই নৈশপ্রহরী। ধোঁয়ায় ভবন ভরে যায়। তবে, বড় কোনও বিপত্তি ঘটার আগেই দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন আয়ত্তে আনে। ওই সময় দফতরে কোনও কর্মী ছিলেন না। খবর পেয়ে আসেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা-সহ কর্মাধ্যক্ষ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। গান্ধীবাবু বলেন, “মূল দফতরে আগুন লাগেনি। ফলে নথিপত্রের কোনও ক্ষতি হয়নি।”
|
ধৃত সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুরনো একটি খুনের মামলায় এক সিপিএমকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম গৌরাঙ্গ মাহাতো (৩৮)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি থানার দক্ষিণশোল গ্রামে। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। ফের ১০ অগস্ট তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার। ২০১০ সালে এক তৃণমূলকর্মী খুনের মামলায় তাঁর নাম রয়েছে। শনিবার মেদিনীপুর শহর থেকে এই সিপিএমকর্মীকে গ্রেফতার
করে পুলিশ।
|
আলোচনাসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গীতার দর্শন বিষয়ক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুর টাউন স্কুলে (বালক)। শনিবার স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসকনের মায়াপুর কেন্দ্রের প্রিচিং কো-অর্ডিনেটর বেণুধর দাস, স্কুলের প্রধানশিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে গীতার দর্শন ও বিপ্লবীদের কেন গীতা পাঠ করতে হত, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-সহ সকলের হাতে গীতা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অনন্যা পাণ্ডে ও স্বপনকুমার প্রামাণিক। |
|