পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতে ‘চিন্তন শিবিরে’র আয়োজন করল জেলা কংগ্রেস কমিটি। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্যের সেচ ও ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এ ছাড়াও ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব মায়া ঘোষ, মনোজ পাণ্ডে, জেলা সভাপতি অসিত পাল প্রমুখ। |
জেলায় কংগ্রেস ‘দুর্বল’ হয়ে পড়েছেপ্রকারান্তরে তা মেনে নিয়ে কর্মীদের ‘জাগ্রত’ হওয়ার আহ্বান দেওয়া হয় এ দিনের শিবিরে। কেন্দ্র ও রাজ্যে শরিক দল তৃণমূলের সঙ্গে তুলনা করে প্রদীপবাবু বলেন, “কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। আমাদের নীতি আদর্শ মেনে চলতে হয়। তৃণমূল আঞ্চলিক দল। তাঁদের নিজস্ব নীতি নেই। তাঁরা আঞ্চলিকতাতেই সীমাবদ্ধ।” তবে দলের দুর্বলতা কাটাতে প্রদীপবাবু মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের উদাহরণ দিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বকে শক্তিশালী হওয়ার নির্দেশ দেন। জোটের বিরোধিতা না করলেও তৃণমূলের ‘ভুল’ তুলে ধরতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা না করলে সিপিএম সুযোগ কাজে লাগাবে। আমরা জোটের কারণে আগে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারিনি। কিন্তু এ বার হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনেই আমরা আন্দোলন কর্মসূচিতে যাচ্ছি।” তৃণমূলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মতপার্থক্যের কথা স্বীকার করে এ দিন প্রদীপবাবু বলেন, “কিছু জায়গায় রাজনৈতিক দিক থেকে কংগ্রেসকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই সরকারে থেকেও মতপার্থক্য রয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নমূলক কাজে আমলাতন্ত্রের বিরোধিতা করবই।”
এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও সংগঠনের দুর্বল দিক তুলে ধরে জেলা কংগ্রেসকে ব্লক স্তরে সক্রিয় করার আবেদন জানান। তবে পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়াইয়ের প্রশ্ন সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী বলেন, “দলের কর্মীদের ওপর কোনও সিদ্ধান্ত প্রদেশ নেতৃত্ব চাপিয়ে দেয় না। জোট হবে কি না তা জেলা নেতৃত্বই ঠিক করবেন।” |