জঙ্গলমহলের আদিবাসী পড়ুয়াদের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকে সাঁওতালি ভাষায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এক মাস ধরে ‘প্রচার-অভিযান’ চালানো হল। ঝাড়গ্রামের ‘সুচেতনা’ মহিলা সংস্থার উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অর্থানুকূল্যে গত ৫ জুলাই থেকে ৩ অগস্ট পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম মহকুমার ২৩টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাঁওতালি ভাষায় ‘রবীন্দ্র-স্মরণ’-এর আয়োজন করা হয়। ‘সুচেতনা’র সম্পাদিকা স্বাতী দত্ত বলেন, “বিশ্বকবির জন্ম-সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর সৃষ্টিকে সাঁওতাল পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।” |
সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে লালগড়, বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম, জামবনি ও গোপীবল্লভপুর এলাকার সাঁওতাল পড়ুয়াদের ওই ২৩টি স্কুলে সাঁওতালি ভাষায় রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, নাটক ও রবীন্দ্র নৃত্যে অংশ নেয় আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা। এ ছাড়া রবীন্দ্র বিষয়ক ক্যুইজ ও রবীন্দ্র কবিতা-ভিত্তিক ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতাতেও যোগদান করে তারা। স্বাতীদেবী জানান, অনুষ্ঠানের জন্য আগে সংশ্লিষ্ট স্কুলের পড়ুয়াদের কর্মশালা করে তালিম দেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানের জন্য রবীন্দ্রনাথের সংক্ষিপ্ত জীবনী, ৩টি নাটক (‘কাবুলিওয়ালা’, ‘ছাত্রের পরীক্ষা’ ও ‘রোগের চিকিৎসা’) ও প্রচলিত ৬টি কবিতা সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করে দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সাঁওতালি সাহিত্যিক শৈলজানন্দ হাঁসদা ও শিক্ষাব্রতী নৃপেন টুডু। বিশ্বভারতীর সহযোগিতায় সাঁওতালি ভাষায় ৯টি গান সংগ্রহ করা হয়।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ঝাড়গ্রাম মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী। |