|
|
|
|
বেলপাহাড়িতে নানা কর্মসূচি |
অলচিকি শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র দেবেন মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অলচিকি জানা শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে লোধা পরিবারের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেওয়াসবই থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের বেলপাহাড়ি কর্মসূচিতে।
আগামী ৮ অগস্ট বেলপাহাড়িতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে এখন ব্যস্ত জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা দফায়-দফায় বৈঠক করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির একটি রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের কাছে তার একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। এই তালিকাতেই অলচিকি জানা শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া, লোধা পরিবারের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া সহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ৩ জন অলচিকি জানা শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। ৫টি লোধা পরিবারের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হবে।
ক্ষমতায় এসে জঙ্গলমহলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে সেই প্রতিশ্রুতি পালনে নানা পদক্ষেপও করেছেন। লালগড়, ঝাড়গ্রামে এসে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এখন সেই সব প্রকল্পের কাজ চলছে। এর জন্য ‘স্পেশাল প্যাকেজ’ও তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে যেমন নয়াগ্রামের সুবর্ণরেখা সেতু, ৫০টি ছাত্রী আবাস, জঙ্গলমহল এলাকায় ছাত্রাবাস-সহ নতুন ১০টি স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে, তেমনই শালবনি-লালগড়-নয়াগ্রামে কলেজ তৈরি, ১৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতীকরণ-সহ একগুচ্ছ প্রকল্প রয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১টি ব্লক মাওবাদী ‘উপদ্রুত’ বলে পরিচিত। এই সব ব্লকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাসই বেশি। আদিবাসীদের দাবি মেনেই এখানে সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে পড়ানোর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এক সময় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যে সমস্ত স্কুলে ন্যূনতম ৫০ জন আদিবাসী ছাত্রছাত্রী রয়েছে, সেখানে অলচিকি লিপিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে চুক্তির ভিত্তিতে এই সব শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেখা যায়, জঙ্গলমহলের ১১টি ব্লকে ২৯০টি স্কুলে ৫০ জন বা তার বেশি তফসিলি উপজাতির ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকের আনুপাতিক হার ঠিক করতে হলে ২৯০টি স্কুলে ৪৪৮ জন অলচিকি জানা শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ইতিমধ্যেই ১০৭টি স্কুলে ২০১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি ১৯৩টি স্কুলে ২৪৭ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই নিয়োগের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
বেলপাহাড়ির সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ৩ জন শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সব মিলিয়ে ৯ জনকে পাট্টা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। দু’জন কৃষককে সেচের সরঞ্জাম দেওয়া হবে। ১০ জন কৃষককে কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। জঙ্গলমহল এলাকার ৩টি ক্লাবকে ক্রীড়া সরঞ্জাম দেওয়া হবে। ৩টি স্কুলকে গানের যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি, একটি জল প্রকল্পের শিলান্যাসও হতে পারে। |
|
|
|
|
|