জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও, ক্লাব ফুটবল চালিয়ে যেতে চান ভাইচুং ভুটিয়া। রবিবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্পনসরদের একটি অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলে দিলেন, “আমি যদি ফিট থাকি, তা হলেই মাঠে নামব। নিজেকে ফিট করার জন্য ট্রেনিং করছি। কোচ মনে করলে মাঠে নামাবেন।”
এ দিনই সিকিমের পুরো টিমের নাম ঘোষণা করা হল। সেখানে ফরোয়ার্ড হিসাবে ভাইচুংয়ের নাম আছে। অর্থাৎ খেলার জন্য ভাইচুং মরসুমের শুরুতেই নথিভুক্ত হচ্ছেন। তালিকায় দু’জন বিদেশির নাম রয়েছে। গোলকিপার হিসাবে কোরিয়ান টাইউন এবং নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার নুরুউদ্দিন (যিনি কলকাতা লিগে খেলেছেন)। দলের মালিক ভাইচুংকে পাশে নিয়ে কোচ ফিলিপ ডি’রাইডার বললেন, “আরও দু’জন বিদেশির সঙ্গে কথা বার্তা চলছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য আই লিগের অবনমন বাঁচিয়ে টিঁকে থাকা।” টোগো, কোস্টা রিকা এবং আইভরি কোস্টের তিন জন ফুটবলার ট্রায়াল দিতে আসছেন। তাঁদের থেকে দু’জনকে নেওয়া হবে দলে। |
উজ্জীবিত ভাইচুং। রবিবার শহরে। -নিজস্ব চিত্র |
পরিচিত ফুটবলারদের মধ্যে আনোয়ার আলি, হরপ্রীত সিংহ, হরদীপ সাইনি, বিখোখোই, বুধিরাম টুডুরা রয়েছেন টিমে। ভাইচুং বললেন, “ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের দু’জন ফুটবলারের পিছনে যত টাকা খরচ হয়েছে তার চেয়েও কম টাকায় দল গড়েছি আমরা।” পুরো দল নিজের মতো বেছে নিয়েছেন কোচ রাইডার। ভাইচুং বলে দেন, ‘‘কোচ নিজে দল বেছেছেন। ভাল হলে সব কৃতিত্ব কোচের। খারাপ হলেও দায় তাঁর।” স্পনসরদের পক্ষ থেকে এ দিন ঘোষণা করা হয়, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, প্রয়াগ ইউনাইটেডকে ভাইচুংরা হারাতে পারলে দু’লক্ষ টাকা করে প্রতি ফুটবলারকে দেওয়া হবে।
একশো কুড়ি কোটি ভারতবাসীর মতো অলিম্পিকে একটি সোনার প্রতীক্ষায় রয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। বিজয়কুমার, সাইনা নেহওয়াল, গগন নারঙ্গকে অভিনন্দন জানিয়ে ভাইচুং বললেন, “ব্রোঞ্জ, রুপো জেতা অ্যাথলিটদের অভিনন্দন। ওঁরা আমাদের গর্বিত করেছেন। এ বার একটা সোনা দরকার।” |