মোহন-ইস্ট এখন ইতিহাস, বলছেন র‌্যান্টি
লকাতায় পা দিয়ে ‘গোল মেশিন’ র‌্যান্টি মার্টিন্স চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে।
র‌্যান্টির সাফ কথা, “ওরা এখন ইতিহাস। গোল করে ডেম্পোকে বারবার চ্যাম্পিয়ন করেছি। ওরা আমাদের কিছু করতে পারেনি। এ বারও প্রয়াগ ইউনাইটেডকে চ্যাম্পিয়ন করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই কলকাতায় এসেছি।” পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য ওডাফা-টোলগেদের সঙ্গে যা লড়াই সব মাঠে। “ওদের কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত লড়াই নেই আমার। ওরাও গোল করবে, আমিও করব।”
ওকোলি ওডাফার সঙ্গে গতবারও পাল্লা দিয়ে গোল করেছেন র‌্যান্টি। শেষ পর্যন্ত আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে প্রমাণ করেছেন তিনিই ভারতে খেলা বিদেশিদের মধ্যে সেরা স্ট্রাইকার। র্যান্টি ভারতে আসার পর বরাবরই ত্রাস ছিলেন দুই প্রধানের কাছে।
প্রয়াগ কর্তারা ট্রফি পেতে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার কার্লোস হার্নান্ডেজকে। কার্লোস আসছেন ১০ অগস্ট। আজ থেকে অবশ্য মাঠে নেমে পড়ছেন র‌্যান্টি। এতটাই সিরিয়াস যে স্ত্রী- সন্তানদের নিয়ে শহরে নামার পরেই বিমান ধকল কাটিয়ে বিকেলে চলে যান সাইয়ের মাঠ দেখতে। কার্লোসের মতো বিশ্বকাপারকে পাশে পেয়ে কি গোল করতে আপনার আরও বেশি সুবিধা হবে? র‌্যান্টির মন্তব্য, “বিশ্বকাপারের সঙ্গে আমার খেলা নতুন নয়। ডেম্পোতে থাকার সময় ত্রিনিদাদের বিশ্বকাপার থিওবোল্টের সঙ্গে খেলেছি। কার্লোসের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে ও খুব বড় মাপের ফুটবলার।”
সপরিবারে শহরে পা র‌্যান্টির। রবিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
র‌্যান্টি মাঠে থাকা মানেই প্রচুর গোল। এ বার প্রয়াগেও কি সর্বোচ্চ গোলদাতার লক্ষ্য নিয়ে নামবেন? প্রাক্তন ডেম্পো স্ট্রাইকার বললেন, “স্ট্রাইকারের কাজই তো গোল করা। গোল তো করতেই ট্রফি আসবে। সর্বোচ্চ গোলদাতা নয়, ট্রফিই আমার লক্ষ্য।”
আট বছর ডেম্পোতে খেলে পাঁচ বার আই লিগ জিতিয়েছেন গোয়ার অফিস ক্লাবকে। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন পরপর দু’বার। র্যান্টিকে দলে নিতে গত কয়েক বছর বারবার বিশাল আর্থিক প্রস্তাব নিয়ে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন র‌্যান্টি কলকাতায় কোনওদিন আসবেন না। কিন্তু এ বার প্রয়াগ ইউনাইটেড কর্তারা কার্যত অসাধ্য সাধন করেছেন তারকা ফুটবলারকে নিয়ে। অবশ্য এর পিছনে কাজ করেছে বড় অঙ্কের টাকার টোপ।
বারবার একটা কথাই বলছিলেন র‌্যান্টি। “কলকাতায় একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে এসেছি”। তিনি জানিয়ে দিলেন, নাইজিরিয়ায় বাড়িতে বিশ্রাম নিয়েছেন। অনুশীলনেও ছিলেন না। “টানা খেলেছি। একটু বিশ্রাম দরকার ছিল। ফিট হতে দিন দশেক সময় তো লাগবেই।”
মোহন-ইস্টকে ইতিহাস বলছেন, কিন্তু আপনাকে তো খেলতে হবে ফাঁকা মাঠে। ওডাফা-চিডির মতো সমর্থকও পাবেন না! বলা হলে র্যান্টি হেসে ডেম্পোর কথা তুললেন। “ডেম্পোরও কিন্তু অত বেশি সমর্থক ছিল না। আমি অনেক ম্যাচ ফাঁকা মাঠে খেলেছি, হ্যাটট্রিক করেছি। গোল করার সময় ওটা আদৌ বাধা হবে না।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.