আট বছরের পরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে শনিবার রাতে হিন্দমোটরের নন্দনকাননের বাসিন্দা অজয় দে এবং তাঁর স্ত্রী মাম্পিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃত দম্পতির জামিন মঞ্জুর করেন। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাপিয়া চক্রবর্তী নামে ওই বালিকার মা শিবানীদেবী চুঁচুড়ার দক্ষিণায়নে থাকেন। সকালে লিলুয়ার একটি কারখানায় কাজ করেন। বিকেলে বাড়ি ফিরে পরিচারিকার কাজ করেন। মেয়েকে একা থাকতে হত বলে তাকে প্রথম দিকে বৈঁচির একটি আশ্রমে রেখেছিলেন। মাসখানেক আগে অজয়-মাম্পি তাঁদের শিশুসন্তানকে দেখাশোনার জন্য মেয়েটিকে হিন্দমোটরে নিয়ে যান।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে শিবানীদেবী জানিয়েছেন, গত ৩১ জুলাই তিনি মেয়েকে দেখতে গেলে সে অত্যাচারের কথা বলে। মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, জোর করে আটকে রাখা, ঠিকমতো খেতে না দেওয়া, অন্যায় ভাবে খাটানো এবং শ্লীলতাহানি করা হত। ওই দিনই মেয়েকে চুঁচুড়ায় ফিরিয়ে আনেন শিবানীদেবী। পরের দিন তিনি উত্তরপাড়া থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে জেনারেল ডায়েরি করেন। শনিবার এফআইআর করেন।
রবিবার পাপিয়াদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার হাত-পা, কোমরে, পিঠে দাগ। পাপিয়া বলে, “আমাকে ওরা এক বেলা খেতে দিত। খেতে চাইলে মারত। খুন্তির ছেঁকা দিত কাকিমা। নখ দিয়ে খিমচে দিত। খুব মারত। আমি আর ওই বাড়িতে কোনও দিন যাব না।”
|
বছর তিরিশের এক বিধবা মহিলাকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের দুর্গাপুর গ্রামে। শনিবার সকালে মহিলার বছর দ’শেকের মেয়ে তাঁকে বাড়ির দাওয়ায় পড়ে থাকতে দেখে। সে-ই খবর দেয় প্রতিবেশীদের। বাঁধন খোলেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। মহিলাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ওই মহিলার অভিযোগ, রাতে বাইরে শব্দ পেয়ে দরজা খুলেছিলেন তিনি। এ দিক ও দিক তাকিয়েও কিছু দেখতে পাননি। এরপরে শৌচাগারের দিকে পা বাড়াতেই তিন জন লোক তাঁর মুখ চেপে ধরে। মহিলা বলেন, “এক জনকে চিনতে পেরেছি। বিপ্রদাস পণ্ডিত নামে ওই ব্যক্তি গ্রামেরই বাসিন্দা। মিনি টিউবয়েল চালিয়ে জলের ব্যবসা করে। সে-ই আমাকে আক্রমণ করে। বাকি দু’জন হাত-পা চেপে ধরেছিল। আমার নাকে কিছু একটা গন্ধ শোঁকানো হয়। তারপর আর জ্ঞান ছিল না।” মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় শনিবার। হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “প্রাথমিক ভাবে কিছু বোঝা যায়নি। নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানো হচ্ছে।” মহিলার জবানবন্দির ভিত্তিতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তারা জানায়, বিপ্রদাস পণ্ডিত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। মহিলা অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তাঁকে ধর্ষণই করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। বাকি দু’জন ধর্ষণের চেষ্টা করে থাকতে পারে। পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের কাছে মহিলা দু’রকম বিবৃতি দেওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, কর্তব্যরত নার্স ও অন্য রোগীদের সামনেই জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। |