অবশেষে নতুন একটি জেটি পাচ্ছে উলুবেড়িয়া।
হুগলি নদীর ধারে উলুবেড়িয়া খেয়াঘাটে জেটি না-থাকায় প্রতিদিন নদীপথে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। নতুন জেটি চালু হয়ে গেলে তাঁরা স্বস্তি পাবেন।
জেটি তৈরি হয়েছে জলপথ পরিবহণ দফতরের সঙ্গে উলুবেড়িয়া পুরসভার যৌথ উদ্যোগে। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুরসভাকে দিতে হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দেবদাস ঘোষ বলেন, “রমজান কেটে গেলে চলতি মাসের শেষের দিকে জেটিঘাটটি চালু করা হবে।” |
উলুবেড়িয়া খেয়াঘাটের ঠিক উল্টো দিকে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আছিপুর খেয়াঘাট। উলুবেড়িয়া থেকে আছিপুরের মধ্যে যাতায়াত করেন প্রচুর মানুষ। অনেকে উলুবেড়িয়া থেকে আছিপুুর হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করেন। উল্টো দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকেও মহকুমা আদালত, মহকুমাশাসকের দফতর-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মসূত্রে অনেকে উলুবেড়িয়ায় আসেন। উলুবেড়িয়া কলেজে পড়াশোনা করতে আসেন অনেক ছাত্র-ছাত্রী। সকলকে উলুবেড়িয়া-আছিপুর খেয়াঘাট পার হতে হয়।
উলুবেড়িয়া খেয়াঘাটটির অবস্থান পুরসভা এলাকার মধ্যেই। নদীর পাড়ে নৌকা থামে। পাড় বেয়ে বেশ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ওঠানামা হয় যাত্রীদের। এখানে একটি পাকাপাকি জেটি তৈরির জন্য অনেক দিন ধরে নিত্যযাত্রীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠছিল। বছর দুই আগে পুরসভার তরফ থেকে জলপথ পরিবহণ দফতরের কাছে জেটি তৈরির প্রস্তাব দেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান কংগ্রেসের সাইদুর রহমান। পরিবহণ দফতরের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রস্তাবটি মেনে নেন।
গার্ডেনরিচে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে জেটি তৈরির বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু পুরসভার তরফ থেকে যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তা তারা দিতে না-পারায় তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে জেটিটি আনা যায়নি। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন, “সময়মতো টাকা জমা দিতে না পারায় জেটি আনতে দেরি হয়। এটি বসানোর কাজ প্রায় শেষ। এ বারে চালু করার ক্ষেত্রে আমরা দেরি করতে নারাজ।” |