ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে বর্তমান ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদের মেয়াদ। তার আগে পরিষদের নির্বাচনের জন্য গা-গরম করা শুরু করেছে সব ক’টি রাজনৈতিক দলই। তবে ডিমারাজি টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল গঠনের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর যখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা তখন কি সরকার এখনই নির্বাচন করবে? নাকি সংসদীয় প্রক্রিয়া সেরে নিতে যে ক’মাস সময় লাগে, সেই সময়টুকুর জন্য বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেবে? তবে সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, ভোট নির্ধারিত সময়েই হবে।
প্রশ্নটি প্রথম উত্থাপন করে স্বশাসিত রাজ্য দাবি কমিটি (এএসডিসি)। তাদের আশঙ্কা, পরিষদের বর্তমান মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবজিৎ থাউসেন অতিরিক্ত ক’দিন ক্ষমতায় থাকতে এখনই নির্বাচন চাইবেন না। এএসডিসি সভাপতি রথীন্দ্র থাউসেন বলেন, দেবজিৎ পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করছেন বলে তাঁদের কাছে খবর আছে। তাঁরা এর বিরুদ্ধে। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন রথীন্দ্রবাবুরা।
এ দিকে, যার বিরুদ্ধে মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশের অভিযোগ, সেই দেবজিৎ থাউসেন আজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ও তাঁর দল সময়মতো নির্বাচনেরই পক্ষে। ২০০৭ সালে এক বিশেষ পরিস্থিতিতে ছ’মাসের জন্য পরিষদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এখন জেলায় সেই উদ্বেগজনক পরিবেশ নেই। টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের পর তা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে অনেকটাই সময় লাগবে। এত দিন অপেক্ষার কোনও যুক্তি নেই।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে তাদের কাছে ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নভেম্বরের শেষ ভাগে দু’দফায় ভোট করানোর সুপারিশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলিও পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে। গত মাসেই বিজেপি-র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত জাতীয় পর্যবেক্ষক পি চন্দ্রশেখর রাও জানান, তাঁর দল একক ভাবে ডিমা হাসাওয়ের ২৮টি আসনে প্রার্থী দেবে। ১০টি আসনে প্রার্থীর নামও পাকা হয়ে গিয়েছে বলে রাও জানান। বাকি আসনেও শীঘ্রই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। |