‘পরিচ্ছন্ন ভারত’ অভিযানে, দেশের অন্য ৯টি প্রত্নস্থলের সঙ্গেই ঠাঁই পেল জয়ন্তী পাহাড়ের উম-ন্যাকানেথ প্রস্তর সেতু। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অফ ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট এই অভিযান শুরু করেছে। ভারতের দশটি প্রত্নস্থল তথা পর্যটন কেন্দ্রকে ‘পরিচ্ছন্ন ভারত’ অভিযানের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, হায়দরাবাদের গোলকুণ্ডা কেল্লা, গোয়ার সেন্ট ক্যাথিড্রাল ও সেন্ট ফ্রান্সিস আসিসি গির্জা, গ্বালিয়র দূর্গ, মহারাষ্ট্রের কানহেরি বৌদ্ধগুহা, দিল্লির লালকেল্লা, ভূবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির, পঞ্জাবের ভাতিন্ডা দুর্গ, তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরমের মন্দিরগুচ্ছ, লখনউয়ের ইমামবাড়া ও মেঘালয়ের উম ন্যাকানেথ।
অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত জয়ন্তিয়াপুর ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের রাজধানী। সেখান থেকে গ্রীষ্মের রাজধানী নরটিয়াং আসার জন্য জারাইন ও সিন্ডাইয়ের মধ্যে এই প্রস্তর সেতু বানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই একটি পাথরে গড়া এই সেতুটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। জয়ন্তী পার্বত্য জেলায় এমনই আরও দু’টি সেতু রয়েছে। বিশাল গ্রানাইট পাথরের ব্লক একের উপর একটি বসিয়ে এই সেতুর স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯২৫ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ জেলাশাসক জে এইচ হাটন এই সেতুর সন্ধান পান ও বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন। সেতুগুলি ছাড়াও জয়ন্তিয়া জুড়ে এক প্রস্তর খণ্ডে গড়া নানা পুরার্কীতির নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। ‘পরিচ্ছন্ন ভারত’ অভিযানের অধীনেতালিকাভুক্ত স্থানগুলিতে ‘ভারতীয় গুণমান পরিষদের (কিউসিআই) প্রতিনিধি যাবেন। প্রতিটি সৌধ ও তার আশপাশে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মান পরীক্ষা করা হবে। দেওয়া হবে নম্বর। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের মত, অধিকাংশ সৌধের আশপাশের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পর্যটকদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রথমবারের অভিজ্ঞতার পর পর্যটক নিজে ওই সব এলাকায় দ্বিতীয়বার পা দেন না, অন্যকেও না যেতে পরামর্শ দেন। এ সব ভেবেই সৌধগুলির পরিচ্ছন্নতা যাচাইয়ের পরে, আশপাশের স্কুল, কলেজ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব, কারখানা, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে সচেতন করে তোলা হবে। |