দলীয় কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই ‘গোষ্ঠী’র মধ্যে বোমবাজির জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে নানুরের বাসাপাড়া এলাকায়। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরের বাসাপাড়া বাজার এলাকায় তৃণমূলের থুপসরা অঞ্চল কমিটির কার্যালয় দখলকে কেন্দ্রে রবিবার সকাল ৭টা থেকে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরি সভাপতি অশোক ঘোষের অভিযোগ, “সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে আমাদের কার্যালয় দখলের চেষ্টা করে।” যদিও সিপিএমের নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমানের পাল্টা দাবি, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর আওতায় থাকা কার্যালয় দখলের উদ্দেশ্যে বোমাবাজি করে।” পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। তবে উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্য দিকে, এ দিনই নানুরের ফেউগ্রাম সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এসেছে। ওই সমবায় সমিতির ৪৬টি আসনে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। তার মধ্যে নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরার গোষ্ঠীর ৩৮ জন এবং তৃণমূলের জেলা সভপাতি অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর ৮ জন জয়লাভ করেন বলে সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের ব্লক কার্যকরি সভাপতি অশোক ঘোষের দাবি, “কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। সিপিএম মদতপুষ্ট কিছু প্রার্থীর সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।” আর সিপিএমের নানুর জোনাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেন, “নিরাপত্তার কারণে আমরা ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি।” প্রসঙ্গত, এর আগেও ওই সমবায় সমিতি তৃণমূলের দখলে ছিল। |