নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
তাঁদের বাড়িতে হঠাৎই ঢুকে পড়েছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে ঘরের উঠোনে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে শান্তিনিকেতনের বনেরপুকুর ডাঙার কালী টডু, তরে মাড্ডিরা সেদিন বেশ অবাকই হয়েছিলেন। এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই। জানিয়েছিলেন, বঞ্চনার কথা। আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। ওই আদিবাসী এলাকার ৯৯টি পরিবারকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনকে।
তারপরে শনিবার রাজ্যের সংখ্যাতত্ত্ব ও পরিকল্পনা রূপায়ণ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূমের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি, এসআরডিএ চেয়্যারম্যান অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে ওই পরিবারগুলিকে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা কার্ড দেয় জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঠিক তার পরের দিন, রবিবার ওই কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গেলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। |
গত ২৭ জুলাই বোলপুরে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় হঠাৎ চলে যান বনেরপুকুর ডাঙায়। সেখানকার আদিবাসীরা তাঁদের জীবন-জীবিকার কথা জানাতে দিয়ে সরকারি সুবিধা না পওয়ার আক্ষেপও করেন তাঁর কাছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর হয় প্রশাসন। তড়িঘড়ি শনিবার ওই ৯৯টি পরিবারকে তুলে দেওয়া হয় অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা প্রকল্পের কার্ড। কার্ড হাতে পেয়ে স্বভাবতই খুশি ছিলেন ওই দুঃস্থ আদিবাসী পরিবারের লোকজন। তাঁদেরই একজন সুন্দরী মুর্মু বলেন, “এত তাড়াতাড়ি কার্ড পেয়ে যাব ভাবিনি! মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন।”
রবিবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজের খতিয়ান দেখার পাশাপাশি অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় আসা বোলপুর বনেরপুকুর ডাঙার আদিবাসীদের অবস্থাও দেখে গেলেন মন্ত্রী। শান্তিনিকেতনে এসে মুখ্যমন্ত্রীর নিদের্শে তিনি পৌঁছে যান গোপাল মাড্ডি, চিত্রা মাড্ডিদের বাড়িতে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে আসা। তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো ওই পরিবারগুলিকে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। ওই পরিবারগুলিকে আরও সাহায্যের বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে চিন্তা ভাবনা করা হবে।” এ দিনই খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকার আরও চারজনের নাম ওই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়। |