গ্রেফতারের পরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্বস্থলী থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। জখম অবস্থায় সন্ন্যাসী বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মারধরের ঘটনায় জড়িত পুলিশকর্মীদের শাস্তি চেয়ে কালনার মহকুমাশাসক, এসডিপিও ও মানবাধিকার কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী দোলাদেবী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে খুন হন পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঘোষপাড়ার এক বাসিন্দা। এর পরে ১৭ জনের নামে পূবস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার মধ্যে সংলগ্ন আলুনিমাঠ এলাকার বাসিন্দা সন্ন্যাসী বিশ্বাসের নামও ছিল। ওই অভিযোগপত্রে দোলাদেবী জানান, গত ৩০ জুলাই সন্ধে ৭টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যায় পুলিশ। স্বামীকে দেখতেই মারধর শুরু করে। সন্ন্যাসীবাবুর মা বাধা দিতে গেলেও লাভ হয়নি। তাকে গ্রেফতার করে প্রথমে কাছাকাছি পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দোলাদেবী দেখেন, রক্তবমি করছেন সন্ন্যাসীবাবু। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সন্ন্যাসীবাবুকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে সারা রাত স্বামীর খোঁজ পাননি তিনি। অনেক খোঁজখবর করার পরে পরের দিন তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামীকে অসুস্থ অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১ অগস্ট অবস্থায় আরও অবনতি হলে তাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযোগপত্রের সঙ্গে সাক্ষী হিসেবে দশ জনের নামের একটি তালিকাও দিয়েছেন তিনি। সন্ন্যাসীবাবু এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিজেপি নেতা তাপস দে-র দাবি, “সন্ন্যাসী দলের সক্রিয় কর্মী। ওকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। গ্রেফতার নামে অত্যাচার করা হয়েছে।” কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “এসডিপিও-কে ঘটনাটির তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি।” মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |