আদালতে হাজির না হওয়ায় কালনা থানার ওসি অমিত মিত্র ও বর্তমানে মেমারি থানায় কর্মরত এক এসআই সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কালনা মহকুমার এসিজেএম আদালত। অমিতবাবুর আইনজীবী গৌতম গোস্বামী জানান, সোমবার অতিরিক্ত জেলা জজের আদালতে ওই পরোয়ানার স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন জানানো হবে।
২০১১ সালের ৫ অক্টোবর শহরের এক দন্তচিকিৎসক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ওসি অমিতবাবু ও তৎতালীন কালনা থানায় কর্মরত সুজিতবাবু-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নিগ্রহ ও মানসিক হেনস্থার মামলা দায়ের করেন। আদালত ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের জন্য তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত এসডিপিও জ্যোতির্ময় রায়কে নির্দেশ দেয়। ১০ নভেম্বর, এসডিপিও আদালতকে জানিয়ে দেন, ঘটনার তদন্তে ওই দু’জনের তরফে কোনও ত্রুটির প্রমাণ মেলেনি। পুলিশ জানায়, আদালত জ্যোতির্ময়বাবুর রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। ২০১২-এর ৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন এসিজেএম অলোক চৌধুরী প্রাথমিক ভাবে দশ জনকেই অভিযুক্ত করে তাঁদের সমন পাঠানোর নির্দেশ দেন। অলোকবাবু বদলি হয়ে গেলে তাঁর জায়গায় আসেন মধুমিতা রায়। তিনি পুরনো নির্দেশ বহাল রেখে ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ওই দুই পুলিশ অফিসার ছাড়া বাকি ৮ জন জামিন নিয়ে নেন। সুজিতবাবু ও অমিতবাবুর আইনজীবী গৌতম গোস্বামী জানান, আদালতের নথিতে দেখা গিয়েছে সমনের কোনও নোটিস পাননি তাঁরা। এর পরে আদালত রেজিস্ট্রি করে সমন পাঠিয়ে ৭ জুন ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় ওই দু’জনকে। কিন্তু সে দিন ‘সিজ ওয়াকর্’ থাকায় কোনও কাজকর্ম হয়নি। ২ অগস্ট সমন পাঠিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়। সে দিন আদালতকে জানানো হয়, ৩ ফেব্রুয়ারির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২৭ জুলাই অতিরিক্ত জেলা জজের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এ দিন আদালতে গরহাজির থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মহকুমার এসিজেএম আদালত। অমিতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। |