দুই তৃণমূল সমর্থককে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা, বর্ধমান থানায় এমনই অভিযোগ জানালেন এক ‘প্রহৃত’। শনিবার বড়নীলপুরের শান্তিপাড়ায় তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে এক দল দুষ্কৃতী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল সমর্থক স্বরূপ ঘোষের। তাঁর দাবি, তৃণমূলেরই কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয় তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুলাই বর্ধমানের বিদ্যার্থীভবন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন নিয়ে বর্ধমান শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি খোকন দাসের অনুগামীদের সঙ্গে দলেরই প্রাক্তন জেলা নেতা পরেশ সরকারের অনুগামীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। সেই রাতেই নীলপুরের একটি চট কারখানার কাছে বেশ কিছু দুষ্কৃতী স্বরূপ ঘোষ ও তাঁর এক বন্ধুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে বলে অভিযোগ। আহত দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পরে খোকন দাস-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বরূপবাবুর বাবা সুকুমার ঘোষ। কিন্তু এ পযর্ন্ত খোকন দাস, পরিতোষ চক্রবর্তী-সহ অন্য অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি।
স্বরূপবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর বাবাকে শনিবার বাড়িতে ঢুকে এক দল লোক ‘হুমকি’ দেয়, অবিলম্বে অভিযোগ প্রত্যাহার না করে নিলে তাঁদের পরিবারের প্রত্যেককে খুন করা হবে। বাড়ির মহিলাদেরও শ্লীলতাহানি করা হবে। স্বরূপবাবুর অভিযোগ, “ওই সব লোকজন আরও হুমকি দেয়, আমাদের সঙ্গে দলের এক মন্ত্রীর যোগাযোগ রয়েছে। তাই পুলিশ ওই আগের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারেনি।” হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগপত্রে পরিতোষ চক্রবর্তী-সহ আট জনের নাম দেওয়া হয়েছে।
খোকনবাবু অবশ্য এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমি কোনও ঘটনায় অভিযুক্ত হলে, পুলিশ তো আমাকে ধরত। কে কোথায় কী করছে, তা আমি কী করে জানব? আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারে কোনও লাভ হবে না।” |