বেহাল রাস্তার যেখানে-সেখানে বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রাক। তার জেরে বিঘ্ন ঘটে বাস চলাচলেও। খানাখন্দে ভরা এসটিকেকে রোডে বাস নিয়ে যাতায়াতে প্রাণের ঝুঁকিও থাকে। এই অভিযোগ তুলে আজ, সোমবার থেকে প্রায় ১০০টি লোকাল ও দূরপাল্লার বাস ও সেই সঙ্গে কাটোয়া-করুই রুটের বাস বন্ধ রাখা হবে বলে জানালেন বাস কর্মচারীরা। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
রাজ্য সড়কে এসটিকেকে রোডের কাটোয়া থেকে ছাতনি মোড় পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দ, ছোট-বড় গর্ত তো ছিল। বর্ষায় রাস্তাটি আরও বেহাল হয়ে পড়েছে।
কলকাতার সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, হুগলি ও বর্ধমানের একাংশের যোগসূত্র এসটিকেকে রোড। |
পূর্ত দফতর (সড়ক)-এর হিসেব অনুযায়ী, ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭৫০টি দশ চাকার ট্রাক-সহ প্রায় ২৫০০টি গাড়ি চলাচল করে। রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় তা কার্যত তলানিতে ঠেকেছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে কর্দমাক্ত রাস্তা দেখলেই বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে ধীরে ধীরে খালি বাস নিয়ে জায়গাটি পার হন বাস চালকেরা। বাসকর্মীদের দাবি, খারাপ রাস্তার জন্য বাসগুলির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীরাও ভয়ে বাসে উঠছেন না। তাঁরাও প্রাণের ভয় পাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের প্রথম দিকে দু’দিন রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বাস বন্ধ রেখেছিলেন বাস মালিকেরা। কিন্তু ফল মেলেনি।
আইএনটিইউসি নেতা নারায়ণচন্দ্র সেনের অভিযোগ, “রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা বার বার দাবি জানিয়েছি। সংস্কারের আশ্বাসও মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে চান কর্মীরা।” একই বক্তব্য সিটু নেতা দেবাশিস বসুর। তাঁর দাবি, “প্রাণের ভয়ে কর্মীরা বাস চালাতে রাজি নয়। তাই আপাতত বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।”
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা ‘সরকারি’ ভাবে অবগত নয়। |