২ নম্বর জাতীয় সড়ক চার লেনের পরিবর্তে ছয় লেনের করতে রবিবার একটি প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজিত হল আসানসোলে। পৌরোহিত্য করেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ, বিধায়ক এবং মহকুমা ও ব্লক স্তরের আধিকারিক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। হাজির ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। কী ভাবে কাজটি শেষ করা যাবে, এটি তৈরি করতে উদ্ভূত সমস্যগুলির সমাধান কী ভাবে সম্ভব, সে সব নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয় বলে জানিয়েছেন মলয়বাবু।
আইন মন্ত্রী জানান, পানাগড়কে প্রাধান্য দিয়েই ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় সড়কের উপরে ক্রমশ চাপ বাড়ছে। তাছাড়া রাজ্যের অর্থনৈতি ও শিল্পের উন্নয়নকে তরান্বিত করতেও রাস্তাটি ছয় লেনের করা প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, “জমি নিয়ে সমস্যা আসতেই পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কারও কাছ থেকে জোর করে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। মানুষকে বুঝিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করব।”
মলয়বাবু আরও জানান, সম্প্রতি জেলা-সফরে এসে পানাগড়ের রাস্তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ-সহ পানাগড়ের রাস্তা সংস্কার করতে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, “পানাগড়ের রেল লাইনের উপরে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। তার পরে সেখানেও ছয় লেনের রাস্তা তৈরি হবে। আপাতত এই রাস্তাটি সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।” তিনি দাবি করেন, কিছু মত পার্থক্য হলেও এ দিনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
জাতীয় সড়কের ছয় লেনের সম্প্রসারণকে স্বাগত জানালেও এ দিনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আসানসোলের সাংসদ সিপিএমের বংশগোপাল চৌধুরী। তাঁর দাবি, “জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের আগে পানাগড়ের রাস্তা ঠিক করতে হবে।” এ বিষয়ে তাঁর যুক্তি, “এই রাস্তাটি সংস্কার না করায় সাধারণ যাত্রীদের অসুবিধার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রতি বছর কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব মার খাচ্ছে।”
বংশগোপালবাবুর দাবি, “সড়ক সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় যে জমি নেওয়া হবে সেই জমি দাতারা ঠিক মতো দাম পাচ্ছেন কি না তা আগে ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া এমন কিছু জায়গার উপর দিয়ে সড়ক সম্প্রসারণের মানচিত্র বানানো হয়েছে যেখানে বহু আগেই কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ডিরেক্টর জেনারেল মাইনস সেফটি। অতএব এখানে কী ভাবে রাস্তা হবে তা জানানো হোক।” এ বিষয়ে মলয়বাবুর বক্তব্য, “যে সব জায়গা দিয়ে সড়ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে তার তলায় কোনও খনি নেই। তাই সড়ক পুরো মাত্রায় নিরাপদ।” |