শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। কাল, সোমবার দুপুরে ওই কমিশনারেটের উদ্বোধন হওয়ার কথা। শনিবার বিকেল থেকে পুলিশের তরফে সে জন্য আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়ের সফর শেষ করে শিলিগুড়ি পৌঁছে কমিশনারেটের উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে ভরা বর্ষায় পাহাড়ের নানা এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা থাকে। প্রশাসন সূত্রের
খবর, সে বিষয়টি মাথায় রেখে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট উদ্বোধনের সময়সূচি এ দিক-ও দিক করা হতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে রেলের কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে রেল সূত্রের খবর। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শিলিগুড়ির বাগরাকোটে ওই দফতর চালু হয়। নতুন ভবনটি করা হয়েছে মহাবীরস্থান উড়ালপুল লাগোয়া এলাকায়। |
নতুন পুলিশ কমিশনারের দফতর তৈরি হয়েছে মাল্লাগুড়ি পুলিশ লাইনের পাশেই। এ দিন সেখানে বোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশনারেট উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র এ দিন পেয়েছেন শিলিগুড়ি মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, “আমন্ত্রণপত্রে উদ্বোধন ৬ অগস্ট লেখা রয়েছে। তবে বর্ষায় পাহাড়ের রাস্তাঘাটের অবস্থা যা হয়! সময়সূচি একটু অদলবদল হতে পারে।”
শিলিগুড়ি মহকুমার শিলিগুড়ি, প্রধাননগর, মাটিগাড়া, বাগডোগরা এবং লাগোয়া জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানাকে নিয়ে নতুন পুলিশ কমিশনারেট তৈরির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তার পরেই ভক্তিনগর থানা এলাকার অন্তর্ভুক্তি এবং কমিশনারেট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কাল, সোমবারই হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। মামলাকারীদের পক্ষে জলপাইগুড়ি যুব কংগ্রেস (লোকসভা কমিটি) সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটি জেলার অংশ নিয়ে অন্য জেলার মধ্যে কমিশনারেট তৈরি করা হচ্ছে। এটা মানা হবে না।”
পক্ষান্তরে, শিলিগুড়ি কমিশনারেটে ভক্তিনগর থানা এলাকাকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে পাল্টা আন্দোলনে নামা ‘বৃহত্তর শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চ’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক রতন বণিক, সুনীল সরকার বলেন, “কেবলমাত্র ভক্তিনগর থানাকে কমিশনারেটে আনলেই সমস্যা মিটবে না। থানা সম্পর্কিত পুরো বিচার ব্যবস্থাকে আনতে হবে। না হলে জলপাইগুড়ি সদরে যাওয়ার জন্য মানুষের ৫০ কিলোমিটারের দুর্ভোগ কমবে না।” |