পদক নিতে এসে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে ওঠার আগেও থামছিল না তাঁর লাফিয়ে নাচা। যেটা শুরু হয়েছিল দুর্দান্ত ‘এস’ মেরে ম্যাচ পয়েন্ট জেতার মুহূর্ত থেকে। দেখে কে বলবে, ইনি ১৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন! রয়েছে জোড়া অলিম্পিক সোনাও, ডাবলসে!
কিন্তু প্রতিপক্ষকে ৬-০, ৬-১ গুঁড়িয়ে সিঙ্গলসে সোনা জিতে গোল্ডেন স্ল্যাম পূর্ণ করতে পারার নেশাটাই বোধহয় আলাদা! যা এ দিন সেরেনা উইলিয়ামসের মতো মহাতারকাকেও বদলে দিয়েছিল উচ্ছ্বসিত কিশোরীতে!
চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সঙ্গে অলিম্পিকে সোনা জিতে গোল্ডেন স্ল্যাম মেয়েদের টেনিসে আছে আর শুধু স্টেফি গ্রাফের। |
সেরেনা বনাম শারাপোভা ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত বিশ্বের দুই প্রাক্তন এক নম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বনাম রাশিয়া জমাট একটা লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল সেন্টার কোর্ট জুড়ে। কিন্তু তিনটে ‘এস’ সার্ভিস দিয়ে প্রথম গেম শুরু করার পর থেকে যে সেরেনা-রাজ চলল, সেটার জন্য আদৌ কি কেউ প্রস্তুত ছিলেন? প্রকৃত চ্যাম্পিয়নের মতোই সেরেনার ভয়ঙ্করতম ফর্মটা বোধহয় তোলা ছিল সোনার পদক আর শারাপোভার জন্য। যার সামনে টেনিসের রুশ গ্ল্যামার রানিকে হতচকিত, অসহায় লাগল। নিজের প্রথম অলিম্পিকে নেমেই রুপো জেতার আনন্দের থেকেও শারাপোভার মনে সারাজীবন সম্ভবত খচখচ করবে আজকের ৬-০, ৬-১ স্কোর লাইনটা। অন্য দিকে, ব্রোঞ্জের ম্যাচে মারিয়া কিরিলেঙ্কোকে ৬-৩, ৬-৪ হারালেন আজারেঙ্কা।
আজকের পরে অবধারিত ভাবে স্টেফির সঙ্গে সেরেনার তুলনা শুরু হয়েছে। স্টেফির দুই অলিম্পিকে সিঙ্গলসে সোনা রয়েছে। সে দিক থেকে স্টেফি এগিয়ে। সেরেনারও কিন্তু এতদিন দু’টো সোনা ছিল, ২০০০ এবং ২০০৮ অলিম্পিকের ডাবলসে। আজকের পরে সোনার সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেলেন গ্রাফকে। সেরেনা মেয়েদের ডাবলসেও ফাইনালে উঠেছেন দিদি ভেনাসকে সঙ্গে নিয়ে।
অর্থাৎ গোল্ডেন স্ল্যাম-এর পরে এ বার ডাবলসে সোনার হ্যাটট্রিকের হাতছানি। |