বিতর্ক থাকলেও সবুজ-মেরুন জার্সি পরে ফেলেছিলেন রুড খুলিটের হাত থেকে। এ বার প্রস্তুতি ম্যাচে খেলে ফেললেন টোলগে ওজবে। গত দু’-তিন বছরের মোহনবাগান রয়ে গেল মোহনবাগানেই। রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলা রক্ষণে স্বস্তি আনতে পারলেন না নতুন নাইজিরিয়ান স্টপার আনিইচে এচেজোনা।
শেষ আট মিনিটে ২ গোল করে কোনওমতে বি এন আরকে ২-১ হারাল মোহনবাগান। টোলগেকেও চোখে পড়ল না। প্র্যাক্টিসের ধার ছিল না তাঁর। একই দশা নতুন স্ট্রাইকার স্ট্যানলিরও।
প্রতিপক্ষকে দেখে গ্যালারিতে আবার হাসতে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গলের পেন ওরজিকে। স্বদেশীয় বন্ধুবান্ধব নিয়ে হাজির তিনি।
মোহনবাগান কোচ সন্তোষ কাশ্যপ যদিও ইচের পারফরম্যান্সে এখনই চিন্তিত নন। বলছেন, “সবে প্রথম ম্যাচ। সবাইকেই উন্নতি করতে হবে। তা ছাড়া সমর্থক আর মিডিয়া-র চাপও আছে।” তিনজনের রক্ষণে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারে খেলা ইচেকে অনেক বার টপকে গেলেন বিএনআর-এর বিদেশি স্ট্রাইকার পাওয়ারফুল এবং অন্যান্য বাঙালি ফুটবলাররাও। তার উপর এই নাইজেরীয় স্টপারের ট্যাকলে ফাউলও হল কয়েক বার।
বিরতির আগে পেনের ভাই পাওয়ারফুলের গোলে এগিয়ে ছিল বিএনআর। ম্যাচ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে গোল দেন মণীশ ভার্গব। জয়ের গোল অনিল কুমারের। ওডাফা ওকোলি খেলেননি। কিন্তু প্রথমার্ধে একসঙ্গে খেলছিলেন টোলগে ওজবে এবং স্ট্যানলি ওকোরোইগি। সন্তোষের কথায়, “দু’জনের মধ্যে অনেকখানি ফাঁকা জায়গা থাকছিল। এই ভুলগুলো শোধরাতে হবে।” ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মোহন-কোচ খেলালেন দীপেন্দু, সাবিথ, অনিলকুমারদের। ম্যাচ জিতলেও বেশির ভাগ সমর্থকই মাঠ ছাড়লেন অস্বস্তি নিয়ে।
এ দিকে, শনিবার এয়ারলাইন্স কাপে ভবানীপুর ৩-২ হারাল গতবারের চ্যাম্পিয়ন কালীঘাট মিলন সঙ্ঘকে। সেমিফাইনালে ভবানীপুরের খেলা মহমেডানের সঙ্গে। এরিয়ান বনাম জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচের বিজয়ী শেষ চারে খেলবে মোহনবাগানের সঙ্গে। ৬ ও ৮ অগস্টের দু’টি সেমিফাইনালই মাঠ সমস্যায় পিছিয়ে গিয়েছে। |