উপরাষ্ট্রপতি ভোটে ক্রস ভোটিং রুখতে তৎপর হল এনডিএ শিবির।
আগামী ৭ অগস্ট সংসদে উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে লড়াইতে নামছেন ইউপিএ প্রার্থী হামিদ আনসারি এবং এনডিএ প্রার্থী যশোবন্ত সিংহ। দুই কক্ষের ৭৯০ জন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে
|
যশোবন্ত সিংহ |
চলেছেন। ইউপিএ শিবিরের দাবি তাদের প্রার্থী হামিদ আনসারির পক্ষে রয়েছে প্রায় ৫০০ সাংসদের ভোট। ফলে জেতা প্রায় নিশ্চিত আনসারির। এই পরিস্থিতিতে পরাজয় নিশ্চিত জেনেও এখন এনডিএ শিবিরের ঐক্য তুলে ধরতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব।
রাষ্ট্রপতি ভোটে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিং হওয়ায় মুখ পুড়েছিল বিজেপি তথা এনডিএ-র। দলের পক্ষ থেকে তখন যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়করা কোথায় কাকে ভোট দিয়েছেন তা নজরে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট দেবেন কেবল লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। ফলে সেখানেও যাতে ক্রস ভোটিংয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে ভোটের এক দিন আগে এনডিএ শিবিরের সব ক ’টি দলের সাংসদদের দিল্লিতে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের এক নেতার কথায়, “পূর্ণ সাংমার বিরুদ্ধে যে ভাবে ক্রস ভোটিং হয়েছিল তা যাতে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে না হয় তা নিশ্চিত করতে সে দিনের নৈশভোজে কী ভাবে কোথায় ভোট দিতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।”
এনডিএ শিবিরের পক্ষ থেকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপি সাংসদ শাহনওয়াজ হুসেন ও রাজীবপ্রতাপ রুডিকে। রাষ্ট্রপতি ভোটে এনডিএ শিবিরের প্রার্থীকে সমর্থন করলেও নবীন পট্টনায়কের বিজেডি বা জয়ললিতার এডিএমকে-র মতো দলগুলি এখনও যশোবন্তকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানায়নি। এই পরিস্থিতিতে জয়ললিতাকে নিজেদের পক্ষে আনার জন্য শেষ পর্যায়েও চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। রুডি বলেন, “আগামী কাল জয়ললিতার সঙ্গে সমর্থন চেয়ে আমার চেন্নাই যাওয়ার কথা।” |