তৃণমূলের অত্যাচারে অনেক তাঁদের অনেক কর্মী-সমর্থকই চাষাবাদ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করলেন রায়নার সিপিএম বিধায়ক বাসুদেব খাঁ। এমন অত্যাচারে অনেকে ঘরছাড়া বলেও দাবি তাঁর। শুক্রবার বর্ধমানের পুলিশ সুপারের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ দিন দুপুরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিধায়ক বাসুদেববাবু অভিযোগ করেন, রায়নার দু’টি ব্লকে তৃণমূলের লোকজনের টানা অত্যাচারে তাঁদের দলের অনেকে গ্রামছাড়া। পুলিশ সুপারের কাছে একটি তালিকা দেন বিধায়ক। সেই তালিকায় অভিযোগ জানানো হয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে তৃণমূলের হামলায় রায়না ও মাধবডিহি থানা এলাকায় ২১ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। মোট ১০৭ জনের কাছ থেকে ‘জরিমানা’ হিসেবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। |
আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে অন্তত পাঁচটি। ছ’টি গণ সংগঠন ও সিপিএমের নানা কার্যালয়ে তালা ঝোলানো ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বামদেব মণ্ডল, শৈলেন্দ্র সাঁই-সহ রায়নার কয়েক জন তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে এই সব ‘হামলা’ হয়েছে বলে বাসুদেববাবুর অভিযোগ। পুলিশ সুপারের কাছে তিনি আরও অভিযোগ করেন, অত্যাচারিতেরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ফলে অত্যাচার আরও বাড়ছে।
রায়নার তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সিপিএমের এ সব অভিযোগ মানতে নারাজ। বামদেববাবু ও শৈলেন্দ্রবাবুদের দাবি, “সিপিএম-ই মানুষের উপরে দীর্ঘ দিন ধরে নানা রকম অত্যাচার চালিয়ে এসেছে। তাই সাধারণ মানুষ এখন তার শোধ নিচ্ছেন। এর সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নন।” পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশের যা করণীয় তা অবশ্যই করা হবে।” |