বৃষ্টি থামতেই মানুষের ঢল মহিষমর্দিনী পুজোয়
আজ নবমী। কালনায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
 
অষ্টমীতে মুখে হাসি বিক্রেতার
সপ্তমীর দিন দিনভর চলে বৃষ্টি। তাই বিকেল, সন্ধ্যায় ফাঁকাই ছিল মেলা। শুক্রবার অষ্টমীর বিকেলেও অল্প বৃষ্টি হয়। কিন্তু বৃষ্টি কমতেই মেলায় ভিড় করে কচিকাচারা। চারটে থেকেই বাবা-মা, দাদু-দিদার হাত ধরে নাগরদোলা আর রকমারি জিনিস কেনার ভিড় দেখা যায়। হাসি ফোটে বিক্রেতাদের মুখেও।

পুলিশের চোখ সিসিটিভিতে
ভিড়ে যাতে গোলমাল না হয় তাই সিসিটিভিতে চোখ রাখছেন পুলিশকর্মীরা। গণ্ডগোলের পরিস্থিতি তৈরি হলেই কড়া হাতে সামলাচ্ছেন তারা। শুক্রবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেওয়া হয় এক মদ্যপকে, এই সিসিটিভি দেখেই। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “সিসিটিভির পাশাপাশি পুজো প্রাঙ্গণের নিরাপত্তাও এবার বেশি।”

ঠাঁই মিলছে না ধর্মশালায়
পুজো মণ্ডপের পাশেই আছে ধর্মশালা। প্রতি বারের মতো এ বারও গিজগিজ করছে ভিড়। তবে বেশিরভাগই প্রৌঢ়। হাওড়া হুগলি কিংবা নদিয়া থেকে এসেছেন তাঁরা। দশমী পেরোলে আবার ফিরবেন নিজেদের ডেরায়। অন্নবালা দাসী নামে এক বৃদ্ধা বলেন, “প্রতিবারই আসি। ধর্মশালায় থাকলে প্রসাদটা পাই। উপরি হিসেবে কিছু চাল আর কাপড়ও জোটে। তাছাড়া চারদিন তো ঘুরে ঘুরে অন্তত ভিক্ষা করতে হয় না।”

নৌকোয় মাথা গুনছে পুলিশ
মন্দিরের পাশেই রয়েছে ভাগীরথীর ঘাট। হাজার হাজার ভক্ত ঘাট পেরিয়ে আসেন মন্দিরে। ভিড় সামলাতে তাই পুজো উপলক্ষে কয়েকটি অস্থায়ী ঘাটও তৈরি করা হয়। নিরাপত্তায় খাতিরে এ বছর ঘাটে লাগানো হয়েছে ফ্লেক্সও। তাতে নৌকায় ৫০ জনের বেশি উঠতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘাটে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। নৌকা ঘাটে ভিড়তেই লোক গুনছেন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে একটি নৌকায় ৫৫ জন আসতেই এক পুলিশকর্মী তেড়ে গেলেন মাঝির দিকে। পুলিশের রক্তচক্ষু দেখে মাঝির জিভ কেটে আকুতি, “আর হবে না স্যার।” তাতেই গলে গিয়ে হেসে ফেললেন পুলিশটিও।

দেদার বিকোচ্ছে পেল্লাই ঢাকাই
মেলায় বিকোচ্ছে পেল্লাই সাইজের লুচি। নাম ঢাকাই। তবে সাধারণ লুচির থেকে বেশ মোটা। প্রতিবারই খাদ্যরসিকদের ভিড় জমে এই ঢাকাইকে ঘিরে। এ বারও বেশ কয়েকটি দোকান বসেছে। দেদার বিকোচ্ছে ২০ টাকা পিস ঢাকাই। কার্তিক ভৌমিক নামে এক দোকানদার বলেন, “ঢাকাই এই মেলার ঐতিহ্য। ৩৬ বছর ধরে এখানে আসছি। বেচাকেনাও ভালই হয়।”

ফিরতি পথে বেলুন-চাকি
স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি কাঠের নানা জিনিস দেদার বিক্রি হচ্ছে মেলায়। বাড়ি ফেরার পথে বেলুন-চাকি, প্রদীপদান, কেঠো কিনছেন অনেকেই। ব্যবসায়ীরা জানান, আসেপাশেই রয়েছে বেশ কিছু কাঠ চেরাই কল। পুজোর মাস তিনেক আগে থেকে সেখান থেকে কাঠ চেরাই করে শিল্পীরা ঘরে বলেই বানান জিনিসপত্র। ব্যবসায়ীদের দাবি, স্থানীয় শিল্পীরা তৈরি করায় এই কাঠের জিনিসের দামও নাগালের মধ্যে।

আটচালায় বসে ‘লাইভ’ পুজো
ভিড়ের ঠেলায় অনেক ভক্তই পুজো মণ্ডপের সামনে থেকেও দেখতে পাচ্ছেন না দেবীকে। ভিড় ঠেলে ঢুকতে পারছেন না অসুস্থ মানুষজন বা বয়স্করাও। তাই পুজো প্রাঙ্গণের পাশের আটচালায় বসেছে দু’টি বিশাল আকৃতির টেলিভিশন। সারাদিন তাতে দেখানো হচ্ছে পুজো আর মেলার সরাসরি সম্প্রচার। পুজো কমিটির তরফেও লাগানো হয়ছে বেশ কিছু সতর্কীকরণ ফ্লেক্স। দর্শনার্থীদের নানা বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তাতে।
(তথ্য ও ছবি: কেদারনাথ ভট্টাচার্য)



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.