|
|
|
|
লোধাদের জন্য বাগান হয়নি, বরাদ্দ টাকা পড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
লোধাদের জন্য ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ঠিক হয়েছিল, প্রথম পর্যায়ে ৫টি এলাকায় বাগান তৈরি করা হবে। সেই মতো অর্থও বরাদ্দ হয়। তবে কাজ হয়নি। এ বার ওই অর্থ ফেরত চেয়ে চিঠি দিতে চলেছে জেলার অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক ও নারায়ণগড় এবং শালবনি, এই দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। দফতরের জেলা আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, “জেলার আদিবাসী মঙ্গল কমিটির সভাতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ ফেরত এলে দফতর থেকে বাগান তৈরির কাজ শুরু করা হবে।”
লোধাদের উন্নয়নে নানা প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের। বছর দুয়েক আগে জেলার ৫টি এলাকায় ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা হয়। ঠিক হয়েছিল, প্রশাসনই বাগান তৈরি করে দেবে। তবে তা দেখভাল করবেন স্থানীয় মানুষ। এ জন্য এলাকায় কমিটি গড়া হবে। বাগান থেকে যে আয় হবে, তা কমিটির সদস্যরা ভাগ করে নেবেন। এতে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। সেই মতো নয়াগ্রামের সিংধুই, লালগড়ের (বিনপুর-১) করমশোল, নারায়ণগড়ের তরফবারপণ্ডা ও গোনুয়া, শালবনির ভাঙাডালি এই ৫টি এলাকায় ফলের বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি বাগানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। নয়াগ্রাম ও লালগড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ঝাড়গ্রাম মহকুমাশাসকের দফতরে এই অর্থ পাঠানো হয়। নারায়ণগড় ও শালবনির ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ করা হয় ২০১১ সালের ১১ অগস্ট। এই দু’টি পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে অর্থ পাঠানো হয়। তবে এতটুকু কাজ হয়নি। বরাদ্দ অর্থ পড়েই রয়েছে। কেন কাজ হল না, তা জানতে চেয়েছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “প্রকল্পের কী পরিস্থিতি, চিঠি দিয়ে তা আগেই জানতে চাওয়া হয়েছিল। সদুত্তর মেলেনি। এ বার অর্থ ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে দুই পঞ্চায়েত সমিতি ও ঝাড়গ্রামের মহকুমশাসককের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সদুত্তর মেলেনি। সম্প্রতি, জেলার আদিবাসী মঙ্গল কমিটির সভায় প্রসঙ্গটি ওঠে। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, অর্থ ফেরত এলে দফতর থেকেই বাগান তৈরির কাজ শুরু হবে। আম, পেয়ারা প্রভৃতি ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|