|
|
|
|
টু-জি স্পেকট্রাম |
ট্রাই-এর থেকে কম দরই বেঁধে দিল কেন্দ্র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অবশেষে নিলামের জন্য টু-জি স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর ১৪ হাজার কোটি টাকায় বেঁধে দিল কেন্দ্র। টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই-এর সুপারিশের তুলনায় যা কিছুটা কম।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, নিলামে ৫ মেগাহার্ৎজ টু-জি স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর আগে যা ১৮ হাজার কোটি করার জন্য সুপারিশ করেছিল ট্রাই। টেলিকম নিয়ন্ত্রকের এই চড়া দরের বিরুদ্ধে গোড়া থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছে মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি। তখন ওই সুপারিশ করা দর অন্তত ৮০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছিল তারা। মূলত টেলিকম শিল্পমহলের আপত্তিতেই বিষয়টি পাঠানো হয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে। মন্ত্রিগোষ্ঠী এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও তাদের সুপারিশ ছিল, ন্যূনতম দর রাখা হোক ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
প্রত্যাশিত ভাবেই আজকের ঘোষিত ন্যূনতম দামেও খুশি হয়নি টেলিকম শিল্পমহল। সিডিএমএ এবং জিএসএম, দুই প্রযুক্তিরই পরিষেবা প্রদানকারী টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন অস্পি (অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিফায়েড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার অফ ইন্ডিয়া)-র কর্তা এস সি খন্না এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, স্পেকট্রামের দর চড়া হলে খরচ বাড়বে মোবাইল পরিষেবারও।
আবার জিএসএম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির (ভোডাফোন, এয়ারটেল, আইডিয়া ইত্যাদি) সংগঠন সিওএআই-এর অভিযোগ, দেশে টেলিকম পরিষেবা প্রসারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে স্পেকট্রামের চড়া দর। এর ফলে মোবাইল মাসুল বাড়বে মিনিটে ৩০ পয়সা। সেই সঙ্গে সংস্থাগুলির ঘাড়ে চেপে বসবে প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ঋণের বোঝা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগানো সমস্যা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কিং শিল্পও।
প্রসঙ্গত, বছরের গোড়ায় টু-জি কেলেঙ্কারির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট দেশ জুড়ে ২২টি সার্কেলে মোট ১২২টি স্পেকট্রাম-লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দেয়। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রকে ফের ওই স্পেকট্রামের নিলাম সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেয় তারা। যদিও এখন সেই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করতে পারে কেন্দ্র। |
|
|
|
|
|