ফিরছি শক্তি বাড়িয়ে, ফেসবুকে ঘোষণা জঙ্গিদের
‘ফেসবুক’-এর নেশায় মজে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে সাম্প্রতিক অতীতে শ্রীঘরবাসী হয়েছেন গারো জঙ্গি সংগঠনের চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন সাংমা। তার পরেও অবশ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে শত্রু মনে করছে না মেঘালয়ের জঙ্গিরা। বরং, আন্দোলনে ফিরে আসার কথা ঘোষণার জন্য ফেসবুককেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে জয়ন্তিয়া পাহাড়ের জঙ্গি সংগঠন হিন্নেইত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (এইচএনএলসি)।
ফেসবুকে, ‘দ্য ভয়েস অফ দ্য হিন্নেইত্রেপ’ পেজ-এ ওই জঙ্গি সংগঠনের ঘোষণা, “আমরা ফিরে এসেছি। এ বার আমাদের সেনারা অনেক বেশি সংগঠিত ও সুদক্ষ। আধুনিকতম অস্ত্রচালনায় সক্ষম।” সম্প্রতি জয়ন্তীয়ার কোংগুং গ্রামে পুলিশের উপর গুলি চালনার দায় নিয়ে তারা বলেছে, এই ঘটনা ‘নমুনামাত্র’।
১৯৯২ সালে, মেঘালয়ের প্রথম জঙ্গি সংগঠন হিন্নেইত্রেপ আচিক লিবারেশন কাউন্সিল দুই ভাগ হয়ে এইচএনএলসি ও আমলা গোষ্ঠীর জন্ম। এইচএনএলসির প্রধান উদ্দেশ্য বহিরাগত ও গারোদের কবল থেকে খাসিয়াদের মুক্ত করা। সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও ঢাকায় রয়েছেন বলে গোয়েন্দাদের দাবি। ২০০৭ সালে আভ্যন্তরীণ বিবাদের জেরে সংগঠনের চেয়ারম্যান জুলিয়াস কে দোরফাংকে হত্যার জন্য অন্য নেতারা গুপ্তঘাতক পাঠান। প্রাণ বাঁচাতে ২৪ জুলাই আত্মসমর্পণ করেন জুলিয়াস।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তোলাবাজির দায়ে সাত সঙ্গী-সহ গ্রেফতার হন দোরফাং। তাঁর জেল হয়। মে মাসে, এমসিপিসি দলের তরফে ঘোষণা করা হয়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন দোরফাং। চেয়ারম্যান আত্মসমর্পণ করলেও, দলের অন্য নেতারা আত্মগোপন করে শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকেন। বছর পাঁচেক ধরে, খাসি পাহাড়ের পাশাপাশি জয়ন্তীয়া হিলেও ঘাঁটি বাড়ান তাঁরা। সঙ্গে চলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ। এইএনএলসি জানিয়েছে, হিন্নেইত্রেপ এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে তাদের সদস্যরা। স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাজ করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশের চরবৃত্তি করলে চরম শাস্তি, এমন কী, মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। উন্মুক্ত স্থানে কেউ মদ্যপান করলে শাস্তি পাবে। মেয়েদের উদ্দেশে তাদের তালিবানি হুমকি, “উত্তেজক পোশাক পরা চলবে না। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই শালীন পোশাক পরতে হবে।”
ইতিমধ্যেই এইচএনএলসির পুনরুত্থানকে ফেসবুকে ‘লাইক’ করেছেন ৩৯৬ জন। এ নিয়ে, জঙ্গিদের পেজে, প্রকাশ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। পুলিশের উপরে হামলার খবর বা ডিজি রামচন্দ্রণের কার্টুন এঁকে গালাগালি সবই প্রকাশ্য পেজে আপডেট করছে জঙ্গিরা! সীমানা সমস্যা মেটাতে না পারা, বিভাজন নীতি ও ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি সেই প্রতিবাদের শরিক হয়ে নানা মন্তব্যও করেছেন। রাজ্যের সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নারী সংগঠন, সচেতন মানুষের সমর্থন চাইছে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের মুখপত্রে পরিণত হওয়া ফেসবুক পেজ বন্ধ করতে এখনও কোনও উদ্যোগ নেয়নি রাজ্য পুলিশ বা প্রশাসন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.