ঝাড়খণ্ডে বিদ্যুৎ মাসুল বাড়ছে। ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ নিয়ামক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যুৎ মাসুল বাড়ানো হয়েছে গড়ে ১৬ শতাংশ। লোডশেডিংয়ের নিত্য যন্ত্রণার মধ্যে চলতি মাস থেকে রাজ্যের আনুমানিক ৩০ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহককে গুণতে হবে এই বর্ধিত মাসুল। সরকারি সূত্রের খবর, প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ মাসুল আদায়ের ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের প্রায় ৪৪৮ কোটি টাকারও কিছু বেশি অতিরিক্ত আয় হবে।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, সব শ্রেণির বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাসুল বৃদ্ধি হলেও কুটির জ্যোতি এবং কৃষি ক্ষেত্রের গ্রাহকদের মাসুল বৃদ্ধির পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম। ওই দুই শ্রেণিভুক্ত গ্রাহকদের ১০ শতাংশ মাসুল বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও মাসুল বৃদ্ধির পরিমাণ শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বদ্ধির হার কম। গ্রামের গ্রাহকেরা এত দিন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য (২০০ ইউনিট পর্যন্ত) ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে মাসুল দিতেন। মাসুলের নয়া বিন্যাসে চলতি মাস থেকে তাদের দিতে হবে (২০০ ইউনিট পর্যন্ত) প্রতি ইউনিট ১ টাকা ৪০ পয়সা। ২০০ ইউনিটের বেশি হলে নতুন হারে দিতে হবে ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা।
অন্য দিকে, মাসুল বৃদ্ধির চাপ তুলনায় বেশি পড়েছে শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপরে। এত দিন ২০০ ইউনিট পর্যন্ত শহরের গ্রাহককে দিতে হচ্ছিল ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৯০ পয়সা। নতুন হারে দিতে হবে ২ টাকা ৪০ পয়সা। ২০০ ইউনিটের বেশি হলে দিতে হবে ইউনিট প্রতি ২ টাকা ৯০ পয়সা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে একই সুরে বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির সমালোচনা করেছে কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা। তাদের বক্তব্য, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাটাই তো অনেক দিন ধরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। লোডশেডিং রাজ্যবাসীর নিত্যসঙ্গী। গ্রামীণ এলাকা তো আছেই, খোদ রাজধানী রাঁচির বিস্তীর্ণ অংশ প্রায় রোজই সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে থাকছে। প্রশাসনের লজ্জা থাকলে এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মাসুল বাড়ানোর প্রস্তাব তারা করত না। |