স্বাধীনতা দিবসের আগেই মিজোরামে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হতে চলেছে। আইজল বিধানসভায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেঘালয়ের মতোই, এখানেও কপ্টার পরিষেবার দায়িত্ব পেতে চলেছে পবনহংস। চালানো হবে দুই ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার।
মিজোরামের বিভিন্ন জেলাগুলির মধ্যে সড়ক যোগাযোগ দুর্গম ও অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। তাই আইজলে মনোরেল চালু করার পাশাপাশি জেলাগুলির মধ্যে যোগাযোগ সুগম করার জন্য নতুন কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছিলেন মুখ্যমন্ত্রী লালথানহাওলা। বিস্তর আলাপ-আলোচনার পরে জেলাগুলির মধ্যে হেলিকপ্টার পরিষেবার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। মেঘালয়ের মতোই সরকারি শর্ত ও নির্ধারিত ভাড়ার নিরিখে এক মাত্র পবনহংস হেলিকপ্টার লিমিটেডই মিজোরামে কপ্টার পরিষেবার জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য অসামরিক উড়ান বিভাগের প্রধান পরামর্শদাতা, কম্যান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) লালজাওমার সঙ্গে পবনহংস কর্তাদের বৈঠক হয়। ঠিক হয়েছে সব ঠিকঠাক থাকলে ১৪ অগস্ট, আইজলের থুয়ামপুই হেলিপ্যাড থেকে ছয় আসন বিশিষ্ট হেলিকপ্টারের প্রথম পরিষেবা চালু হবে। রাজ্যের দক্ষিণে অবস্থিত, রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লুংলের উদ্দেশে উড়ে যাবে কপ্টারটি। সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। সড়কপথে ব্লু মাউন্টেন জাতীয় উদ্যান হয়ে লুংলে যেতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। চপারে লুংলে যাওয়ার ভাড়া ধরা হয়েছে দেড়হাজার টাকা। লুংলে ছাড়াও আইজল থেকে সাইহা, লাওংৎলাই, চাম্পাই, খাজওয়াল, কমলনগর, নাথিয়াল, সেরচিপ ও কোলাশিব পর্যন্ত কপ্টার পরিষেবা চালু করা হবে। আইজল থেকে দক্ষিণপ্রান্তের সাইহা যেতে ভাল আবহাওয়ায় ৫০ মিনিট লাগবে। পথেই পড়বে কোলাশিব।
কলকাতা, গুয়াহাটি, ইম্ফল থেকে নিয়মিত এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান আইজলে আসে। কলকাতা থেকে প্রতিদিন আসে জেটের বিমানও। ইম্ফল থেকে ছোট সেসনা বিমানও আইজলে আসত। কিন্তু গত বছর মে মাসে সেসনা বিমানটি রানওয়ে থেকে পাশের জমিতে গড়িয়ে যাওয়ার পরে সেই উড়ান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এত দিন উত্তর-পূর্বে পর্যটনের ক্ষেত্রে অসম, মেঘালয়, অরুণাচলই সব পর্যটক টেনে নিত। রাজ্য সরকারের আশা, নিয়মিত হেলিকপ্টার উড়ান চালু করলে মিজোরামের পাহাড়, অরণ্য, জলপ্রপাতের অনন্য শোভা দেখতে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। |