|
|
|
|
জনসংযোগ পুলিশের |
রাখি পরিয়ে পথ সচেতনতা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান কার্যত উৎসবের আকার নিল দুই মেদিনীপুরে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মহকুমায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনও রাখিবন্ধনে সামিল হয়। তবে, তমলুক শহরের মানিকতলা ও কাঁথি শহরে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল আরোহীদের রাখি পরিয়ে পথ সচেতনতা সম্পর্কে সচেতন করানোটাই ছিল সবচেয়ে অভিনব উদ্যোগ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অমিত ভরত রাঠোর বলেন, “সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক নিবিড় করার জন্যই রাখিবন্ধন পালন করা হয়েছে।”
এ দিন বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের পাশাপাশি রাখিবন্ধন উৎসবে সামিল হন প্রশাসনিক কর্মী-আধিকারিকেরাও। ব্লক যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে সরকারি ভাবে রাখিবন্ধন পালিত হয় সর্বত্র। তমলুকের মানিকতলায় জেলা পুলিশ লাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অমিত ভরত রাঠোর, ডিএসপি ট্রাফিক এম এম হাসান প্রমুখ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের অফিসে রাখিবন্ধন পালন করে ডিএম অফিস রিক্রিয়েশন ক্লাবের সদস্যরা। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের উদ্যোগে স্থানীয় কাঁকটিয়া বাজারে রাখি বন্ধন পালন হয়। তৃণমূল শিক্ষা সেলের উদ্যোগে তমলুক শহরের মানিকতলা, মেচেদা বাজার, নন্দকুমার, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম, রেয়াপাড়া, কাঁথি, এগরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় রাখিবন্ধন পালিত হয়। তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে জেলখানা মোড় পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে সাধারণ মানুষের হাতে রাখি বেঁধে দেয় তমলুক-হলদিয়া ডিস্ট্রিবিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
কাঁথি থানা ও কাঁথি মহিলা থানার রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে মহকুমা পুলিশ অফিসার ইন্দ্রজিৎ বসু, বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী, কাঁথি থানার আইসি সুব্রত বারিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশকর্মীরা কাঁথির যৌনপল্লিতে গিয়ে যৌনকর্মী ও তাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের রাখি পরান ও মিষ্টিমুখ করান। এ ছাড়াও দিঘা-কলকাতা সড়কে দিঘাগামী পযর্টকদের রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। রামনগর বাজারে সাধারণ মানুষের হাতে রাখি বাঁধেন রামনগর ১ ব্লকের কর্মীরা। রামনগর ২ ব্লকের বালিসাইতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে কর্মীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন ব্লককর্মীরা। ফরিদপুরে অনাথ আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন কাজলা জনকল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
হলদিয়া মহকুমার প্রতিটি থানাতেই রাখিবন্ধন পালন হয় এ দিন। থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের ও হলদিয়া উপ-সংশোধনাগারের ৮৯ জন বন্দিকে রাখি পরানো হয়। মঞ্জুশ্রীতে সিনিয়র সিটিজেন অ্যান্ড অরফ্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মহিষাদলের নাট্যসংস্থা ‘শিল্পকৃতি’র উদ্যোগে মহিষাদল বাজারের কাছে অনুষ্ঠান হয়।
মেদিনীপুরের কেরানচটিতে সদর ব্লক প্রশাসনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মৃগেন মাইতি, বিডিও অয়ন নাথ প্রমুখ। একই ভাবে এই উৎসব পালিত হয়েছে শালবনি, গোয়ালতোড় থেকে শুরু করে খড়্গপুর, নারায়ণগড়, পিংলা, সবংয়েও। খড়্গপুর-মেদিনীপুর দুই শহরেই এ দিন বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে পালিত হয় রাখিবন্ধন। শিশু সংগঠন ‘বঙ্কিম স্মৃতি সব পেয়েছির আসরে’র উদ্যোগে বিকেলে এক অনুষ্ঠান হয়। ঘাটালেও দিনভর নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। সামিল হয়েছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এনএসএস ইউনিটের উদ্যোগে ঘাটাল কলেজে এক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টরা। চন্দ্রকোনা, ক্ষিরপাই, দাসপুরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী জানান, প্রতিটি ব্লক ও পুরসভা এলাকায় রাখিবন্ধন উৎসব উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। |
|
|
|
|
|