|
|
|
|
লক্ষ্মণপুরের জঙ্গল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল হাড়গোড়। বুধবার শালবনি থানার লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে এই হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে। তবে নিখোঁজ কারও পরিবার এই দেহাবশেষ দাবি করেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী। পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলে এক ব্যক্তির দেহ পোঁতা রয়েছে বলে কয়েকদিন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের থেকে জানা যায়। সেই মতো তল্লাশিও শুরু হয়। ২৮ জুলাই শালবনি থানারই ভীমশোলের জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে নির্মল চক্রবর্তী নামে এক সিপিএম কর্মীর দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। হাড়গোড়ের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া প্যান্ট ও চটি দেখে দেহ শনাক্ত করেন তাঁর পরিজনেরা। বছর দুয়েক আগে এই সিপিএম কর্মীকে অপহরণের পর মাওবাদীরা খুন করে বলে অভিযোগ। লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলেও এক ব্যক্তির দেহ পোঁতা রয়েছে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তাঁর নাম স্বপন মুর্মু। প্রায় দু’বছর ধরে তিনি নিখোঁজ। পুলিশ সূত্রে খবর, চাঁদড়ার বাসিন্দা স্বপন এক সময় মাওবাদী-ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিভিন্ন নাশকতার ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। পরে অবশ্য তাঁর সঙ্গে মাওবাদী নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর মাওবাদীদেরই একটি গোষ্ঠী স্বপনকে গুমখুন করে বলে অভিযোগ। বুধবার দুপুর থেকে লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলে তল্লাশি চলাকালীন উঁচু মাটির ঢিবি চোখে পড়ে। পরে মাটি খুঁড়ে সেখান থেকেই হাড়গোড় মেলে। পুলিশের কাছে খবর ছিল, জঙ্গলে ল্যান্ডমাইন পোঁতা রয়েছে। যদিও তল্লাশিতে তেমন কিছু মেলেনি। ওই দেহাবশেষ স্বপন মুর্মুর বলে দাবিও করেননি তাঁর পরিজনেরা। যদিও পুলিশের অনুমান, ওই হাড়গোড় স্বপনেরই। এ ক্ষেত্রে যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তাই করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|