টুকরো খবর |
জেলা কংগ্রেসের চিন্তন শিবির পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক ভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগেই। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সংগঠনকে জোরদার করতে জেলা স্তরে চিন্তন শিবির করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস। আগামী ৫ অগস্ট রবিবার মহিষাদলে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছে জেলা কংগ্রেস। ওই চিন্তন শিবিরে উপস্থিত থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া-সহ রাজ্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অসিত পাল জানান, দলের এই চিন্তন শিবিরে জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে ১০ জন করে প্রতিনিধি যোগ দেবেন। এক দিনের এই শিবিরে ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। শিবিরে মূলত সাংগঠনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে কংগ্রেসের সংগঠন বেশ দুর্বল। জেলা পরিষদ, বিধানসভায় দলের কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। এই পরিস্থিতিতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করতে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের। তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি-সহ জেলা পরিষদে গত চার বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যে জোটসঙ্গী হলেও শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করতে হবে কংগ্রেসকে। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে একদা শাসক বামফ্রন্টের পাশাপাশি বর্তমান শাসকদল তৃণমূলের কী ভাবে সমালোচনা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে শিবিরে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পাল বলেন, “শিবিরে জেলা ও রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দ্বায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’
|
বিদ্যুৎ সংযোগে দেরি, চালুই হয়নি নলকূপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চাষিদের জমিতে জলসেচের জন্য সরকারি উদ্যোগে জল উত্তোলক নলকূপ বসানো হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। নলকূপ চালুর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে টাকাও জমা দেওয়া হয়েছে দেড় বছর হল। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ না মেলায় অধিকাংশ নলকূপ চালু হয়নি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, পটাশপুর, ভগবানপুর, খেজুরি ও পাঁশকুড়া এলাকায়। জেলা কৃষি-সেচ দফতরের বসানো ওই নলকূপগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য একাধিকবার বিদ্যু দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। বৃষ্টির অভাবে জেলার অনেক এলাকায় চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে ওই নলকূপগুলি চালু থাকলে সেচের সুবিধা হত। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে নলকূপগুলি চালু না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি-সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার বিশ্বজিৎ বেরা বলেন, “কৃষকদের জমিতে সেচের জন্য জল তুলতে এগরা, পটাশপুর, ভগবানপুর ,পাঁশকুড়া, খেজুরি এলাকায় ৩০টির বেশি হাল্কা, মাঝারি ক্ষমতার নলকূপ বসানো হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে দেরি হওয়ায় ২৩টি নলকূপ এখনও চালু করা যায়নি। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য গত ৩০ জুলাই ফের বিদ্যুৎ দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির পূর্ব মেদিনীপুর রিজিওনাল ম্যানেজার আশিস নারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যে ভাবে আসে সেই অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। এর জন্য কিছুটা সময় লাগে। তাই দেরি হচ্ছে।’’
|
সফর নিয়ে বৈঠকে জেলা প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী ৮ অগস্ট বেলপাহাড়িতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেলার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এক বৈঠক হল মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি, জেলা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা আধিকারিক প্রণব ঘোষ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র-সহ বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এটি রুটিন বৈঠক। ক্ষমতায় এলে জঙ্গলমহলের উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর লালগড়, ঝাড়গ্রামে এসে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এখন সেই সব প্রকল্পের কাজ চলছে। সরকারের বক্তব্য, এই ‘স্পেশাল প্যাকেজ’ রূপায়িত হলে জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্পেশাল প্যাকেজে’র মধ্যে রয়েছে নয়াগ্রামের সুবর্ণরেখা সেতু, ৫০টি ছাত্রী আবাস, জঙ্গলমহল এলাকায় ছাত্রাবাস-সহ নতুন ১০টি স্কুল, শালবনি, লালগড়, নয়াগ্রামে কলেজ তৈরি, জঙ্গলমহলের ১৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নতি প্রভৃতি। কিছু কাজ শুরুও হয়েছে। কিছু কাজের তোড়জোড় চলছে। কোন প্রকল্পের কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবারের এই বৈঠক বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। বৈঠকে কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হচ্ছে, কী ভাবেই বা সেই সব সমস্যার সমাধান হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
|
দাবি মেনে পাকা সেতু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
এলাকায় পাকা সেতুর দাবি ছিল অনেক দিনের। দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে সেই কাজ চলছে এগরা-২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটদা গ্রামে। পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটদা গ্রামে বালিঘাই-দুবদা খালের উপর আগে একটি পাকা সেতু ছিল। বছর কুড়ি আগে সেটি ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সেটি জীর্ণ হয়ে পড়ে থাকলেও পাকা সেতু তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় মঞ্জুশ্রী, দুবদা ও ছত্রি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন ও আন্দোলন করলেও কাজ হয়নি। অবশেষে স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের সমরেশ দাস ওই জায়গায় কংক্রিট সেতু নির্মাণে উদ্যোগী হন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের প্রকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “বিধায়ক তহবিলের ৬ লক্ষ টাকা ও পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানেই ৪২ ফুট লম্বা ও ৯ ফুট চওড়া ওই সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষের পথে।”পাশাপাশি, বালিঘাই থেকে দুবদা হয়ে চৌমুখ পর্যন্ত ছ’কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজও চলছে। এই রাস্তাতেই ওই সেতু। প্রকাশবাবু জানান, স্থানীয় সাংসদ সিপিআইয়ের প্রবোধ পাণ্ডা ১৫ লক্ষ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ১০ লক্ষ টাকা তাঁদের তহবিল থেকে দিয়েছেন ওই রাস্তা সম্প্রসারণ ও সংস্কার করার জন্য। রাস্তার প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশে কাজ বাকি রয়েছে। ওই সেতু ও রাস্তার কাজ শেষ হলে পানিপারুল, দুবদা, মঞ্জুশ্রী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের ব্লক সদর বালিঘাইতে আসা সহজ হবে।
|
শেষ ফ্রন্টের অবস্থান বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শেষ হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্টের অবস্থান-বিক্ষোভ। খাদ্যের নিরাপত্তা ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে মেদিনীপুর শহরের নান্নুরচকে দু’দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এ দিনও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দীপক সরকার, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা। এ দিনের সভায় ফ্রন্টের জেলা নেতৃত্ব দাবি করেন, মাত্র এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। ভুল বুঝে যাঁরা সরে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে ফিরছেন। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে বলে জানান বিনপুরের বিধায়ক দিবাকর হাঁসদা। তাঁর বক্তব্য, “পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। মানুষ তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে ভাল-মন্দ বুঝতে পারছেন। আমাদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।”
|
দুর্ঘটনায় জখম তিন পুলিশকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
টহলদারিতে গিয়ে থানার সামনেই গুরুতর জখম হলেন তিন পুলিশকর্মী। বুধবার গভীর রাতে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভবানীপুর থানার সামনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন থানার বাইরে একটি পুলিশ ভ্যানে বসেছিলেন বিকাশ মণ্ডল, বিশ্বনাথ দাস ও সুরজিৎ পাত্র নামে তিন পুলিশকর্মী। রানিচকের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্যাঙ্কার পিছন থেকে ধাক্কা মারলে পুলিশ ভ্যানটি পাশের খালে পড়ে যায়। জখম তিন পুলিশকর্মীকে প্রথমে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ও পরে তমলুকের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। থানার সামনে ঘটনাটি ঘটলেও ট্যাঙ্কার ও চালককে ধরা যায়নি।
|
মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র বিলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পূর্ব মেদিনীপুরে উপকূলীয় এলাকার ৪৪ হাজার ৭০০ জন মৎস্যজীবীকে ‘বায়োমেট্রিক কার্ড’ (পরিচয়পত্র) দিল মৎস্য দফতর। দফতরের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ জানান, জেলার প্রায় ৬৫ কিমি জুড়ে বিস্তৃত উপকূলে ৬৭৬টি মৎস্যজীবী গ্রাম ছাড়াও ৪১টি মৎস্যখটি, পেটুয়াঘাট, শঙ্করপুরে মৎস্য বন্দর ও চৌদ্দমাইলে মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এই সব এলাকার এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৭০০ মৎস্যজীবীকে বায়োমেট্রিক কার্ড দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও ওই কার্ড দেওয়া হবে।
|
মৃতদেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে বুধবার উত্তেজনা ছড়াল কাঁথি শহরের উপকণ্ঠে দিঘা-কলকাতা সড়কে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মারিশদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম ঝুনু মাইতি (৪০)। বাড়ি মারিশদা থানার বরুণাবেড়িয়া গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। |
|