|
|
|
|
ওড়িশায় ইউনিট স্তব্ধ, গ্রিড বাঁচল বাংলার বিদ্যুতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ-বিপর্যয়ের জের এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সামনে পড়তে যাচ্ছিল পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড। রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তাদের দাবি, হঠাৎই পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে বলে বুঝতে পারেন তাঁরা। সাম্প্রতিক অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঠিক সময়ে সতর্ক হয়ে যাওয়ায় সেই সম্ভাব্য বিভ্রাট থেকে রক্ষা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই সর্তকতা না-থাকলে এ দিনও দুপুরের পরে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারত বাংলা।
রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ দেখা যায়, পূর্ব ভারতের গ্রিডে আবার একটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বণ্টন সংস্থার অধীন ‘এরিয়া লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার’-এর কর্মী-অফিসারেরা গ্রিডের উপরে নজর রাখেন। সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পরে তাঁরা আরও সতর্ক ছিলেন। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ওড়িশার তালচেরে এনটিপিসি-র দু’টি ইউনিট বসে গিয়েছে। আচমকা ৫০০ মেগাওয়াটের ওই দুই ইউনিট বসে যাওয়ায় গ্রিডে বিদ্যুতের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। অফিসারেরা বুঝতে পারেন, এ ভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই বিকল হয়ে যাবে গ্রিড।
ওড়িশাকে সতর্ক করে এমন ব্যবস্থা নিতে বলা হয়, যাতে ওই দু’টি ইউনিট বসে গেলেও তার প্রভাব গ্রিডের উপরে না-পড়ে। বণ্টন সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সময় পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৩৩০০ মেগাওয়াট।
সিইএসসি-কে তখন ২০০-২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। রাজ্যের অন্য সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছিল আরও ৬০-৭০ মেগাওয়াট। ওড়িশায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় সেই সময় ওই রাজ্যকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গের বণ্টন সংস্থা। বিদ্যুৎ শিল্পমহলের ধারণা, প্রধানত গ্রিড বাঁচাতে রাজ্যের তরফে ওই সিদ্ধান্ত তখন জরুরি ছিল। রাজ্যের কিছু এলাকায় লোডশেডিং করে বিকেল ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ ওড়িশাকে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এড়ানো যায় গ্রিড-বিপর্যয়। |
|
|
|
|
|