|
|
|
|
পরিকাঠামোর জমি নিয়ে বিধি শিথিল করলেন প্রধানমন্ত্রী |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির কাজ ত্বরান্বিত করতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের প্রকল্পগুলিতে সরকারি জমি দেওয়ার ব্যাপারে নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এর ফলে এখন থেকে পরিকাঠামোর জন্য সরকারি জমি মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই কেবল মাত্র কেন্দ্রের সাধারণ নিয়ম মেনে সরাসরি হস্তান্তর করা যাবে। এর ফলে রেল, সড়ক, বিমান পরিবহণ, বন্দরের মতো প্রকল্পে জমি ঘিরে জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রিতা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিল্পের জন্য তো বটেই পরিকাঠামোর জমি নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা চলছে। গত বছরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সরকারি জমি হস্তান্তরের ব্যাপারে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলা হয়, সরকারি দফতরগুলি নিজেদের মধ্যে জমি হস্তান্তর করলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে সরকারি জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। বহু ক্ষেত্রেই জমি হস্তান্তরের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। দেশের আর্থিক বেহাল পরিস্থিতির মধ্যেই শিল্প, বিশেষত পরিকাঠামো ক্ষেত্রের কাজে এই ‘অহেতুক’ দেরির বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি প্রধানমন্ত্রী। জট কাটিয়ে গোটা বিষয়টিকে গতি দিতে গত কয়েক দিন ধরেই সচেষ্ট ছিলেন তিনি। আজ এই নিষেধাজ্ঞাটি প্রত্যাহার করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য মন্ত্রক তার জমি সরাসরি সরকারি সংস্থা বা পরিকাঠামো নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে হস্তান্তর করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর আজকের সিদ্ধান্তের ফলে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের প্রতিটি প্রকল্পের জমির জন্য আলাদা আলাদা করে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। তাদের বক্তব্য, এর ফলে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের কাজে আরও গতি আসবে। সময় তো বাঁচবেই, আনুষঙ্গিক খরচও কমবে। শিল্পমহলের বক্তব্য, প্রকল্পের কাজে যত দেরি হয়, তত খরচও বাড়ে। প্রধানমন্ত্রীর আজকের সিদ্ধান্তের ফলে এই সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|