নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
রেণু সরকার হত্যা-মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বের দ্বিতীয় দিন সাক্ষী দিলেন ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ও ধৃত উজ্জ্বল তপাদারের স্ত্রী সুমিতা এবং নিহতের প্রতিবেশী ফণিভূষণ রায়। বৃহস্পতিবার বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে ওই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “এ দিন সাক্ষ্যগ্রহণের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের উদ্ধার করা জিনিসপত্রও এজলাসে পেশ করা হয়। নিহত রেণু সরকারের প্রতিবেশী ফণিভূষণবাবু ও উজ্জ্বল তপাদারের স্ত্রী সুমিতাদেবী তা চিহ্নিত করেছেন।”
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ায় নিজের বাড়িতে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রেণুদেবী। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়িটির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার এবং এলাকার দাগি দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও তার সঙ্গী পিন্টু দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা এখন জেলহাজতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেই ৩০২, ৩৯৪, ৪১১ ও ৩৪ ধারায় খুন ও ডাকাতির চার্জ গঠন করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় রেণুদেবীকে লোহার রড দিয়ে খুন করার কথা কবুল করেছে মঙ্গল। অন্য দু’জন খুনের ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।
বুধবার এই মামলার প্রথম পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সেদিন সাক্ষ্য দেন নিহতের ছেলে প্রবাল সরকার ও মেয়ে অদিতি সরকার। বৃহস্পতিবার প্রথমেই তপনবাবু সাক্ষীদের বয়ান নেন। এর পরে উজ্জ্বলের আইনজীবী সৈয়দ শাহিদুল আরেফিন সাক্ষীদের কাছে জানতে চান, কোন সময় ঘটনার কথা তাঁরা জানতে পারেন, জানার পর কাকে কাকে খুনের কথা জানিয়েছিলেন এবং ঘটনাস্থলে তাঁরা কী কী দেখেছিলেন। সুমিতাদেবী দাবি করেন, রোজের মতো সে দিনও সকালে ঝাড়ু দেওয়া-সহ নানা কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁর স্বামী উজ্জ্বল কম্পাউন্ডে ঘোরাঘুরির সময় দেখতে পান, গ্যারাজের তালা ভাঙা। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী উপরে উঠে দেখেন, রেণুদেবীর রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে আছে বিছানাতেই। বিছানা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নীচে হাওয়াই চটি এলেমেলো করে রাখা। আর প্রতিবেশী ফণিভূষণবাবু সাক্ষ্যে বলেন, তপাদার দম্পতির ডাকাডাকিতে তিনি দোতলার ঘরে গিয়ে ওই দৃশ্য দেখেন।
ওই দুই সাক্ষীকে কার্যত একই রকম প্রশ্ন করেন পিন্টুর আইনজীবী দিলীপ নায়েক ও মঙ্গলের আইনজীবী ভাস্কর ঘোষও। |