রামপুরহাট হাইস্কুলের ১২৫ বছর পূর্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
রামপুরহাট হাইস্কুলের ১২৫ তম প্রতিষ্ঠাবর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ও বিকাশ দফতরের মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীও। এ ছাড়া ছিলেন বীরভূমের সাংসদ, তৃণমূলের শতাব্দী রায় এবং আর এক প্রাক্তন ছাত্র তথা রামপুরহাট বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনই সকালে স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও সাধারণ নাগরিক প্রভাতফেরি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রামপুরহাট শহর পরিক্রমা করেন। পরে স্কুল প্রাঙ্গণের মঞ্চে প্রদীপ জ্বালিয়ে চারদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রবিরঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, “এলাকায় কারিগরী শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্য সরকার রামপুরহাট, নলহাটি ও মুরারইয়ে একটি করে পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস করেছে। ভবিষ্যতে আরও করবে।” দুই প্রাক্তন ছাত্র নুরে আলম চৌধুরী ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়েই এ দিন তাঁদের বক্তব্যে স্কুলের স্মৃতিচারণ করেন। শতাব্দী রায় তাঁর সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে স্কুলের উন্নয়নে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্য দিকে, আশিসবাবু হাইস্কুলকে তাঁর এলাকা উন্নয়ন খাত থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, স্কুলের মাঠের সংস্কার ও মাঠের সীমানা প্রাচীরের জন্য রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের কাছেও আবেদন জানাবেন।
|
বিক্ষোভ, ক্লাস বয়কট পল্লিশিক্ষা ভবনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
পূর্ব সময় সারণী অনুযায়ী পঠনপাঠন চালু রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার ক্লাস বয়কট করে অবস্থান, বিক্ষোভ করলেন বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন পল্লিশিক্ষা ভবনের কৃষিবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়ারা। দাবি না মেনে নিলে এই বয়কট অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত চলবে বলে হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের নির্দেশে বিশ্বভারতীর পুরনো সময় সারণী বদলে ফেলা হয়েছে। বিশ্বভারতীর ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল সপ্তাহে পাঁচদিন পূর্ণ দিবস। রবি ও বুধবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ক্লাসের সময় ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকেই বিশ্বভারতীতে নতুন সময় সারণী শুরু হয়েছে। কিন্তু নতুন সময় সারণী অনুযায়ী ক্লাস করার ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার কথা তুলে প্রথম দিনই প্রতিবাদের রাস্তায় নামলেন পল্লিশিক্ষা ভবনের পড়ুয়ারা। এ দিন সকাল থেকেই অধ্যক্ষের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন তাঁরা সকালে প্র্যাক্টিক্যাল করতেন। কিন্তু নতুন নিয়মে ক্লাস শুরু হলে গাছগাছালির রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা দেখা দেবে। এ ছাড়া ওই পড়ুয়ারা খাওয়াদাওয়া-সহ নানা ক্ষেত্রে অসুবিধার কথাও তুলেছেন। তাই আগের সময় সারণী অনুযায়ী ক্লাস নেওয়ার দাবি জানাতে ক্লাস বয়কট শুরু করেন ওই ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি নিয়ে অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র দে বৈঠক করেন শিক্ষকদের সঙ্গে। পরে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের আট প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেন পল্লিশিক্ষা ভবন কর্তৃপক্ষ। যদিও কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় শেষ পর্যন্ত ওই আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পড়ুয়াদের দাবির প্রসঙ্গে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
কর্মীদের ভাতা আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুরারই ২ ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ব্লকের ২৪৭টি কেন্দ্রের কর্মীরা এ ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাশাপাশি প্রকল্প আধিকারিকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও করেছেন তাঁরা। কর্মীদের দাবি, আগে খিচুড়ি রান্না হত। গত ১৯ জুলাই বৈঠকে প্রকল্প আধিকারিক নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী তাঁদের ভাত, ডাল ও সব্জি রান্না করতে হবে বলেছিলেন। সেই মতো কর্মীরাও জানিয়েছিলেন, মাথা পিছু সব্জির জন্য ১০ টাকা, ডিমের জন্য ১ টাকা ৭৫ পয়সা এবং সামান্য মূল্যের জ্বালানিতে ওই রান্না করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, রান্নার সরঞ্জাম ও পরিকাঠামো গত সমস্যাও আছে। কর্মীরা বলেন, “ইতিমধ্যে জানতে পারি ১ অগস্ট থেকে ওই নির্দেশ কার্যকরী করতে হবে এবং ডিম, সব্জি, জ্বালানির জন্য নতুন ‘রেট’ ধার্য হয়েছে।” নতুন ‘রেট’ সম্পর্কে জানতে গেলে প্রকল্প আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং জুলাই মাসের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রকল্প আধিকারিক অনিল মুর্মু বলেন, “১৯ জুলাই সভায় নতুন সরকারি নির্দেশ নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু কর্মীরা নতুন নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে সদিচ্ছা দেখাননি। উল্টে তাঁরা আমাকে অপমান করেন। অথচ জেলা থেকে প্রকল্পটি কার্যকর করার জন্য আমার উপরে চাপ আসছে। সদিচ্ছা না দেখানোর জন্য জুলাই মাসের ভাতা বন্ধ করে দেব বলে জানিয়েছে।” মুরারই ২ ব্লকের বিডিও অরূপ দত্ত বলেন, “একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানাব।”
|
নিজস্ব সংবাদদদাতা • দুবরাজপুর |
দশ চাকা লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুর থানা এলাকার তরুলিয়া মোড়ে, পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেথ অওলাদ (৬৫)। বাড়ি দুবরাজপুরের খোঁয়াজ মহম্মদপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বক্রেশ্বর যাবেন বলে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় ইলামবাজারের দিক থেকে আসা একটি দশ চাকার লরি তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরেই কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ধাওয়া করে লরিটিকে ধরে ফেলে। পুলিশ জানায়, গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার |
বেআইনি ভাবে ওষুধ পাচার করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে মহম্মদবাজার-সাঁইথিয়া রাস্তায় প্যাটেল নগর এলাকায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সুব্রত মণ্ডল ও বিষ্ণু প্রামাণিক। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে ৩০০০ হাজার বোতল সিনসিডিল-সহ একটি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। |