নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
গরম, বর্ষা, পুজো সব মিলিয়েই স্কুল ছুটি বছরে ৬৫ দিন। শহরে যেটা শুধুই গরমের ছুটি, গ্রামের স্কুলগুলি সেটা ভাগ করেই বর্ষার ছুটির ব্যবস্থা করে নেয়। কিন্তু দুর্গাপুর শহরের দুর্গাপুর প্রজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুল ২২ দিন গ্রীষ্মের ছুটি নেওয়ার পরে ফের ২৫ জুলাই থেকে দশ দিনের আর এক দফা ছুটি ঘোষণা করায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শককে।
সরকারি নিয়মে ১৮ দিন গ্রীষ্মের ছুটি মেলে, ৩০ দিন পুজোর ছুটি। কিন্তু দুর্গাপুর প্রজেক্টস বয়েজ হাইস্কুল দুই দফায় ইতিমধ্যেই ২২ দিন গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে নিয়েছে। যা শেষ হয়েছে ২৭ মে। তারপরেও আবার ২৫ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত (রবিবার বাদে) ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধান শিক্ষক রমাপ্রসাদ কোনার। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরে আসরে নেমেছে তৃণমূলের শিক্ষা সেল। |
তৃণমূলের শিক্ষা সেলের কোর কমিটির সদস্য বিমল রায় জানান, তিনি ইতিমধ্যেই সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজের মর্জি মাফিক স্কুল চালাচ্ছেন।”
তবে প্রধান শিক্ষক রমাপ্রসাদ কোনার পাল্টা জানান, তিনি যা করছেন সবটাই সরকারি নিয়ম মেনেই করছেন। তিনি বলেন, “বছরে ছুটির সংখ্যা নির্দিষ্ট করা আছে। স্কুলে তার বেশি ছুটি দেওয়া হয় না।” কিন্তু তাঁর দাবি, দ্বিতীয় দফায় দশ দিনের ছুটি ঘোষণা করে তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি। সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ন্তী রায় অবশ্য জানান, স্কুল খুললে তিনি স্কুলের পরিচালন সমিতির কাছে বিষয়টি জানবেন।
বিমলবাবুর আরও অভিযোগ, ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে মাস ছয়েক আগে। কিন্তু নতুন করে স্কুল পরিচালন সমিতি গঠনের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক উদ্যোগী নন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রমাপ্রসাদবাবু বলেন, “স্কুল পরিচালন সমিতির মেয়াদ বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। ছুটির বিষয়টিও পরিচালন সমিতির অনুমোদন নিয়েই ঘোষণা করা হয়েছে।” একই কথা জানিয়েছেন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক বিকাশ দিগরও। |