এ রাজ্যে পরিকাঠামো নির্মাণে আরও লগ্নি করতে চায় ১৩৫ বছরের বেশি পুরনো নির্মাণ সংস্থা শাপুরজি পালোনজি। গভীর সমুদ্র বন্দর, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও রাস্তা তৈরি করতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
বুধবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শাপুরজি পালোনজির চেয়ারম্যান শাপুরজি মিস্ত্রি। এক ঘণ্টার উপরে চলে আলোচনা। ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, অনাবাসী শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায় ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা। পরে শাপুরজি জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প গড়ে তুলতে চায় তাঁর সংস্থা। তিনি বলেন, “১০০০ কোটি টাকার বেশি এই রাজ্যে লগ্নি করেছি ইতিমধ্যেই। তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক, গভীর সমুদ্রবন্দর, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রাস্তা নির্মাণে আগ্রহী আমরা। প্রকল্পগুলি প্রসূনবাবুর সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈরির পরিকল্পনা।” |
টাটা গোষ্ঠীর ১৮.৩৭% দখলে রাখা শাপুরজি গোষ্ঠীর কাছ থেকে লগ্নি প্রস্তাব পেয়ে শিল্পমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্র অন্য মাত্রা পেল। তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে ৪০-৫০ হাজার কোটি লগ্নির প্রস্তাব দিয়েছেন শাপুরজিরা। নির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগোবে রাজ্য।”
সাগরে একটি গভীর সমুদ্র-বন্দর গড়ার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসুলপুরেও আর একটি গভীর সমুদ্র বন্দর গড়তে চায় সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, রাজ্যের পক্ষ থেকে শাপুরজিকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণে প্রাথমিক সম্মতি জানান তিনি। এ ছাড়াও ন’টি ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়তে চায় শাপুরজি গোষ্ঠী। শরিক হতে আগ্রহী রাজ্যের সড়ক উন্নয়নেও। এখানে আছে ৪৩০০ কিমি স্টেট হাইওয়ে। তৈরি হয়েছে স্টেট হাইওয়ে কমিশনও। লক্ষ্য, পিপিপি মডেলে এ সব রাস্তা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
প্রসঙ্গত, ২০ হাজার ফ্ল্যাটের আবাসন প্রকল্প নিয়ে এ রাজ্যে প্রথম পা রাখে শাপুরজি পালোনজি। রাজারহাটে ১৫০ একর জমিতে হচ্ছে এই প্রকল্প। লগ্নি ১৫০০ কোটি টাকা। রাজারহাটে তথ্যপ্রযুক্তি পার্কও গড়ছে তারা। এ দিনের বৈঠকে উঠে এসেছে ‘নাইট শেল্টার’ ও মেয়েদের হোম তৈরির প্রসঙ্গও। পার্থবাবু জানান, শাপুরজির বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্প সম্পর্কে জানার পরে মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যেও ওই ধরনের প্রকল্প তৈরি করতে তাঁদের কাছে আর্জি জানান। |