বিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে নিয়ে আপত্তি তুলে এক পক্ষ খেলতে অস্বীকার করায় শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে গেল ম্যাচ। বর্ধমানের তৃতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগে বুধবারের ঘটনা। এ দিন শহরের স্পন্দন মাঠে রতন স্মৃতি সঙ্ঘ ও বিবেকানন্দ সেবক সঙ্ঘের খেলা ছিল। রেফারি বিবেকানন্দ সেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে ‘খেলতে অস্বীকার’ করার রিপোর্ট দিয়েছেন।
এ দিন বিকেলে খেলা শুরুর মিনিট দশেক পরেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ইতিমধ্যে এক গোলে পিছিয়ে পড়েছিল সেবক সঙ্ঘ। এর পরেই ক্লাবের দুই কর্তা সুজয় দাস ও রাজকুমার নাগ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, বিপক্ষ দলে ১৪ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলারটি সংস্থার নথিভুক্ত নন। মাঠে নামার জন্য তাঁকে তখনই শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি তোলা হয়। যে ক্লাবের হয়ে তিনি খেলতে নেমেছিলেন, তাদের সাসপেন্ড করার ব্যাপারেও সরব হন তাঁরা। সুজয়বাবু ও রাজকুমারবাবু অভিযোগ করেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেননি, উল্টে ওই খেলোয়াড়কে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে অবশ্য সেবক সঙ্ঘের কর্তাদের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্যের দাবি, “যে ফুটবলারকে খেলানো নিয়ে বিবেকানন্দ সেবক সঙ্ঘ অভিযোগ তুলেছে, তিনি কিন্তু মাঠেই নামেননি। অভিযোগকারী ক্লাবকে তাদের বক্তব্য লিখিত ভাবে দিতে বলা হলেও তারা তা দেয়নি। উল্টে মাঠে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।” তিনি বলেন, “এই ম্যাচ তো বটেই, শাস্তি হিসেবে পরের ম্যাচের পয়েন্টও কাটা যাবে ওই ক্লাবের।” পয়েন্ট কাটা হতে পারে শুনে বিবেকানন্দ সঙ্ঘের কর্তারা জানান, প্রয়োজনে তাঁরা জেলাশাসকের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা জানাবেন।
|
ইউনাইটেড কনট্রাক্টরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আয়োজিত নিমাই অধিকারী ও পরিতোষ ভট্টাচার্য স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইানলে খেলায় বিজয়ী হল সুভাষচন্দ্র বয়েজ ক্লাব। তারা ট্রাঙ্ক রোড মাঠে টাইব্রেকারে নবারুণ এসিকে ৮-৭ গোলে হারায়। নির্ধারিত সময়ে দু’টি দলই ১টি করে গোল করে। পরিচালনা করেন ওমপ্রকাশ সিংহ, মুক্তারাম মন্ডল,অশোক মশান। |