টুকরো খবর
কিটের অভাবে বাতিল রক্তদান
কিটের অভাবে একের পর এক রক্তদান শিবির বাতিল হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে রক্তের ভাঁড়ার শূন্য। বিভিন্ন ক্লাব কিংবা সরকারি সংস্থার উদ্যোগে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-একটি শিবিরের আয়োজন করা হলেও কিটের অভাবে মাঝ পথেই সেখানে দাঁড়ি পড়ে যাচ্ছে। সোমবার যেমন, রেল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রেকের উদ্যোগে মুর্শিদাবাদ স্টেশনে এসেছিল আট কামরার রেড রিবন এক্সপ্রেস। স্টেশন চত্বরেই আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরেরও। কিন্তু কিট সরবরাহ করতে পারেনি জেলা ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। জেলা এডস প্রিভেনশন সেল-এর পক্ষে শঙ্কর পাল খোলাখুলিই বলছেন, “শিবিরে ২০ জনের রক্ত নেওয়া হয়েছে। আরও অনেকেই রক্ত দিতে এসেছিলেন। কিন্তু জেলা ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিট-ই দিতে পারেনি।” সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রভাসচন্দ্র মৃধা। তিনি বলেন, “ব্লাড ব্যাঙ্কে শুক্রবার পর্যন্ত ৮০টি কিট ছিল। এখন ৪০টি। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে মুর্শিদাবাদ স্টেশনের ওই রক্তদান শিবিরে ২০টি ব্যাগ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি জরুরি প্রয়োজনের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কেই রাখা হয়েছে।” প্রভাসবাবু জানান, এ সমস্যা শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই নয়, রাজ্য জুড়ে। কিটের আকালে শিবির করার পথেই হাঁটছে না সংস্থাগুলি। বহরমপুর জেলা হাসপাতালের সুপার কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “ব্লাড ব্যাঙ্কে কিটের ঘাটতি রয়েছে। তবে লালবাগ, কান্দি ও জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কয়েকটি কিট এনে সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যভবনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সমস্যা মেটাতে ওড়িশা ও পুদুচেরি থেকে কিট আনানোর চেষ্টা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জন্য হাজার খানেক কিট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।” বহরমপুর জেলা ব্লাড ব্যাঙ্ক ছাড়াও কান্দি, ডোমকল ও জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে রক্ত মিলছে না। কান্দি মহকুমা হাসপাতালের সুপার মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, “রক্তদান নিয়ে এলাকায় এমনিতেই সচেতনতার অভাব রয়েছে। তার উপর কিটের আকাল। রোগীরা হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।” কেউ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে এগিয়ে এলেও কিটের অভাবে তা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত আরও দুই
বাইপাস এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত দু’জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। এ নিয়ে কলকাতা পুরসভার ১০৭ ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে আট জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলল বলে পুরসভা সূত্রে খবর। মঙ্গলবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, পুর স্বাস্থ্য দফতর ওই এলাকায় ৩টি শিবির করেছে। গত ৩ দিনে সেখানে শ’খানেক রোগীর রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। শনিবার ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিললে অতীনবাবু ও পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ সেখানে যান। অতীনবাবু জানান, পুরসভার জল, স্বাস্থ্য, বিল্ডিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা ডেঙ্গি রোধে একযোগে এলাকা পরিষ্কার রাখার কাজ করছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বছরে ১৯ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ১৬টি ডেঙ্গির কেস মিলেছে। এর মধ্যে ৮টি কলকাতার। বেলেঘাটা আইডি-তে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৬টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১টি ও হাওড়ায় ১টি কেস মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পরপর দু’বছর রাজ্যে ডেঙ্গি কম হয়েছে। তাই এ বছর বাড়তে পারে। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় হিসেব ওলটপালট হতে পারে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.