ভিন্ রাজ্যের ‘টানে’ নাকাল পশ্চিমবঙ্গও
ঙ্গলে অমঙ্গল!
সোমবারের বিপর্যয় পুরোপুরি সামলে ওঠার আগেই ফের ধাক্কা বিদ্যুৎ গ্রিডে। এ বার আর শুধু উত্তরাঞ্চল গ্রিড নয়। নজিরবিহীন বিপর্যয়ে এ দিন দুপুরে প্রায় একই সঙ্গে বিকল হয়ে গেল পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল গ্রিডও। আর সেই ধাক্কায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ-সহ অর্ধেক ভারত। চরম দুর্ভোগে পড়লেন ৬০ কোটি মানুষ।
এ দিন বেলা একটার পর থেকে উত্তর, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব মিলিয়ে মোট ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলে যায়। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। খনি গহ্বরে আটকে পড়েন শ্রমিকেরা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই বিপর্যয়। যা শুধু এ দেশে নয়, গোটা বিশ্বেই বিরল ঘটনা বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।
গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় তার সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে। বসে যায় এনটিপিসি-র ৬২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যারা সব মিলিয়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
বিভ্রাটের গ্রাসে
• নিগম-এনটিপিসি-ডিপিএলে উৎপাদন বন্ধ
• রেল স্তব্ধ, বাতিল বহু দূরপাল্লার ট্রেন
• খনিতে আটকে গেলেন শ্রমিকেরা
• জেলার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বন্ধ
•দুর্গাপুর-হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, সল্টলেকে আইটি বিপর্যস্ত
• জেলায় বিঘ্নিত মোবাইল, এটিএম
• সিগন্যাল নেই, কলকাতার পথে যানজট
• কেওড়াতলা-নিমতলার চুল্লি সাময়িক বন্ধ
এ রাজ্যে এনটিপিসি-র পাশাপাশি ডিপিএল, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ায় সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। তবে কলকাতার বাসিন্দারা কিছুটা হলেও ভাগ্যবান। কারণ, সিইএসসি ঠিক সময়ে গ্রিড ব্যবস্থা থেকে নিজেদের আলাদা করে নেওয়ায় তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক। কলকাতার বিদ্যুৎ ঘাটতি তাই ৬০০ মেগাওয়াট ছাড়ায়নি কখনও। মেট্রো চলাচল ছিল স্বাভাবিক। অন্য দিকে সোমবারের মতো এ দিনও রাজধানী নয়াদিল্লির জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে যায়। আটকে পড়ে দিল্লি মেট্রোও।
কী ভাবে ঘটল এই বিপর্যয়?
দেশে মোট পাঁচটি বিদ্যুৎ গ্রিড রয়েছে। উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল। প্রতিটি রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সাবস্টেশনগুলি এই গ্রিডগুলির সঙ্গে যুক্ত। দক্ষিণাঞ্চল গ্রিড ছাড়া অন্য সব ক’টি গ্রিড একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। ফলে কোনও একটি গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে অন্য গ্রিডগুলির উপরে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। তবে ঠিক সময়ে বিপর্যয়ের আঁচ পেলে একটি গ্রিড অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে নিতে পারে। ঠিক যে ভাবে সোমবার উত্তরাঞ্চল গ্রিডে বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্রিড নিজেদের আলাদা করে নিয়েছিল। কিন্তু এ দিন পশ্চিমাঞ্চল গ্রিড নিজেদের আলাদা করে নিলেও, অন্য তিনটি গ্রিড তা পারেনি।
গ্রিড-গ্রন্থ
বিদ্যুৎ গ্রিড কী?
• বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, সরবরাহ কেন্দ্র (সাবস্টেশন) এবং সরবরাহ লাইনের মধ্যে যোগাযোগকারী মূল বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থা।

এর ভূমিকা কী?
• উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ সরাসরি গ্রিডে যায়। প্রতি রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগম প্রয়োজনমতো গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেয়।

ভারতে ব্যবস্থাটা কী রকম?
• এ দেশে মূল গ্রিড পাঁচটি উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম চারটি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত, দক্ষিণাঞ্চল স্বতন্ত্র।

বিপর্যয় কী ভাবে হয়?
• কোন সরবরাহ সংস্থা গ্রিড থেকে কখন, কতটা বিদ্যুৎ টানবে, তা নির্দিষ্ট থাকে। কেউ তার কম বা বেশি টানলে ফ্রিকোয়েন্সির হেরফের হয়, তাতেই বিভ্রাট। সরবরাহকেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রুটিতেও ফ্রিকোয়েন্সি বাড়তে-কমতে পারে।

কখন গ্রিড পুরোপুরি বসে যায়?
• এ দেশে গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সি সেকেন্ডে ৪৯.৫-৫০.২ সাইকেল্স রাখতে হয়। ফ্রিকোয়েন্সি এর কম-বেশি হলে গ্রিড সম্পূর্ণ বসে যায়।

বসে গেলে কী হয়?
• সংযুক্ত সমস্ত উৎপাদনকেন্দ্রও বসে যায়। সরবরাহের মতো কোনও বিদ্যুৎ গ্রিডে থাকে না।

সিইএসসি-এলাকায় কিছুটা রেহাই কেন?
• বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল গ্রিড থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা সিইএসসি’র আছে। তাই মঙ্গলবার তাদের উৎপাদন বন্ধ হয়নি।

সাম্প্রতিক বিপর্যয় কেন?
• উত্তর ভারতের কোনও কোনও রাজ্য উত্তরাঞ্চল গ্রিড থেকে বাড়তি বিদ্যুৎ টানায় সোমবার গ্রিডটি বসে যায়। তারাই সীমা লঙ্ঘন করে এ দিন আরও বিদ্যুৎ টানায় পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলও বসে যায়। পশ্চিমাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে বেঁচে যায়।

বড় গ্রিড-বিভ্রাট শেষ কবে হয়েছে?
• ২০০২-এ। সরবরাহকেন্দ্রের ত্রুটিজনিত ফ্রিকোয়েন্সি হেরফেরে উত্তরাঞ্চল গ্রিড বসে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১টা নাগাদ আগরা-গ্বালিয়র জংশনে বিপর্যয় দেখা যায়। ওই জংশন দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল গ্রিড থেকে উত্তরাঞ্চল গ্রিডে বিদ্যুৎ চলাচল করে। পশ্চিমাঞ্চল গ্রিড নিজেদের আলাদা করে নিতে পারলেও, বাকিরা বুঝতেই পারেনি কী হতে যাচ্ছে। তাই অন্য তিনটি গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ করে শূন্যে নেমে আসে।
বিপর্যয় কেন আগে থেকে বোঝা গেল না, তার কোনও ব্যাখ্যা বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে দেওয়া হয়নি। তবে

নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রীজি, ৬০ কোটি মানুষ এবং
২২টি রাজ্য অন্ধকারে। দেশবাসী জানতে
চায়, এখানেও কোনও জোটধর্ম
পালন করছেন কি?
কলকাতায় রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তার মন্তব্য, “সোমবারের পরে ফের যে এমন হতে পারে, সেই ধারণাই কারও ছিল না।”
এ দিনের বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “সাধারণ অবস্থায় গ্রিডে বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্ৎজ অর্থাৎ সেকেন্ড ৫০ সাইকেল থাকার কথা। ফ্রিকোয়েন্সি ৪৯.৫ থেকে ৫০.২ হার্ৎজের মধ্যে থাকলে সমস্যা হয় না। কিন্তু তার থেকে কমে বা বেড়ে গেলেই গ্রিড বিকল হয়ে যায়। এ দিন কোনও কোনও রাজ্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টেনে নেওয়ার ফলে ফ্রিকোয়েন্সি হঠাৎ করে নেমে যায়। তার ফলেই এই বিপর্যয়।” এ দিনের বিপর্যয়ের জন্য তিন কৃষিপ্রধান রাজ্য, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাকে দায়ী করছে কেন্দ্র। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের মতে, এই রাজ্যগুলি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টেনে নেওয়াতেই বিপত্তি। উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাব অবশ্য এই অভিযোগ মানেনি।
কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দাবি, সোমবারের বিপর্যয়েরও প্রধান কারণ ছিল কিছু রাজ্যের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টেনে নেওয়া। তার পর কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিকে নোটিস দিয়ে বলে, তারা যেন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টেনে না নেয়। কিন্তু রাজ্যগুলি তাতে কান দেয়নি।
সোমবার পূর্বাঞ্চল গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ এনে উত্তর ভারতের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল। সেই পথ এ দিনও খুলে রাখা ছিল। তাই উত্তরাঞ্চল গ্রিডে বিপর্যয়ের পরে পূর্বাঞ্চল গ্রিডকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হয়নি বলে অনেকের মত। ২০০২ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য উত্তরাঞ্চল গ্রিড বিকল হয়েছিল। সে বার কিন্তু অন্য গ্রিডের উপরে তার প্রভাব পড়েনি। বিদ্যুৎ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, তিনটি গ্রিড এক সঙ্গে বিকল হওয়ার ঘটনা সম্ভবত আগে হয়নি।
কেন বরাদ্দের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টানছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, অনাবৃষ্টি ও খরা-পরিস্থিতির ফলে চাষের জন্য অতিরিক্ত পাম্প চালাতে হচ্ছে। বড় কৃষকদের দাবি মেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা বা পঞ্জাবকে। কোনও রাজ্যই এই বিরাট ভোটব্যাঙ্ককে চটাতে চায় না। বিপর্যয়ের আগে এ দিন সকালেই পূর্বাঞ্চল গ্রিড থেকে অতিরিক্ত ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ টানা হচ্ছিল বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন।

অতীতে আঁধার

দেশ কত মানুষের ভোগান্তি
১৯৬৫ আমেরিকা আড়াই কোটি
১৯৭৭ আমেরিকা ৮০ লক্ষ
১৯৮৯ আমেরিকা ও কানাডা ৬০ লক্ষ
১৯৯৯ ব্রাজিল বেশ কয়েক লক্ষ
২০০৩ আমেরিকা বেশ কয়েক লক্ষ
২০০৩ ইতালি বেশ কয়েক লক্ষ
২০০৪ গ্রিস ৭০ লক্ষ
২০০৫ ইন্দোনেশিয়া ১০ কোটি
২০০৬ জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ১ কোটি
২০০৮ চিন ৪০ লক্ষ
২০০৯ ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ৬ কোটিরও বেশি
৩০-৩১ জুলাই, ২০১২ ভারত ৬০ কোটি
বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে ‘অবাধ্য’ রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্র কেন আরও কড়া হল না, সে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, এর অন্যতম কারণ রাজনৈতিক চাপ। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় কংগ্রেসের অন্যতম ‘ভরসা’ সমাজবাদী পার্টি। হরিয়ানা, পঞ্জাব বা রাজস্থানেও ভোটব্যাঙ্কের কথা ভাবতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
এই ভাবে বিদ্যুৎ সঙ্কট হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি দাবি করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, এর পিছনে নীতিগত ব্যর্থতা রয়েছে। চাপের মুখে বিদায়ী বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে বলেছেন, “যারা বরাদ্দের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ টানবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সদ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকে আসা বীরাপ্পা মইলি জানান, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই সমাধানের পথ খুঁজবেন তিনি।
এ দিন দুপুরে রাজ্যে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরে মহাকরণে বিদ্যুৎমন্ত্রী মনীশ গুপ্তর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৩টে নাগাদ সরকারি অফিসগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে দেন তিনি। এই বিপর্যয়ের জন্য রাজ্য কোনও ভাবেই দায়ী নয় দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিপর্যয় মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।
তবে সারা রাজ্য অন্ধকারে ডুবে গেলেও সিইএসসি এলাকায় জরুরি পরিষেবাগুলি চালু ছিল। বিপর্যয়ের সময় সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা ছিল ১৬০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। সিইএসসি-র নিজস্ব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ১০০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল। কিন্তু রাজ্যের কাছ থেকে ৬০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সংস্থার পরিষেবাভুক্ত বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ছাঁটাই করতে হয়। তবে রাজ্যের অন্যান্য অংশের তুলনায় কলকাতার জনজীবন কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছিল। মেট্রো চালানো গিয়েছে। এক সময় সিইএসসি-র কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে শিয়ালদহ, হাওড়ায় দিয়ে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সিইএসসি-র দাবি, রাত ১১টা নাগাদ তাদের সব এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে আসে।
রাতের দিকে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানানো হয়, পশ্চিমাঞ্চল গ্রিডের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল গ্রিডের সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে রাজ্যের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। সেই বিদ্যুতে ভর করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম তাদের ব্যান্ডেল, কোলাঘাট, বক্রেশ্বর, সাগরদিঘি-র একটি করে ইউনিট চালু করেছে। ধাপে-ধাপে যদি সেগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তা হলে গভীর রাতের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা রয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.