জমির বিবাদে গুলিবিদ্ধ ৬
মির দখল নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার পেঁয়াজপোখর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জখম ব্যক্তিদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মাথায় ও চোখের পাশে গুলি লাগায় পরে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, জখম ব্যক্তিরা প্রত্যেকে তাঁদের দলীয় সমর্থক। তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সিপিএমের চোপড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক পরিতোষ রায় বলেন, “সোমবার সকালে তৃণমূলের একদল কর্মী জমি দখল করতে গেলে আমাদের কর্মীরা বাধা দেয়। ওই সময় ওঁরা গুলি চালায়। আমাদের ৬ জন কর্মী জখম হন।” যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দলের বিধায়ক তথা জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, “বদনাম দেওয়ার জন্য সিপিএমের পক্ষ থেকে আমাদের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। সিপিএম সমর্থকরা বন্দুক নিয়ে আসে। নিজেদের গুলিতে ওঁরা জখম হয়েছে।” গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ কাঠা জমির দখল নিয়ে এ দিন সংঘর্ষের সূত্রপাত। এর আগেও ওই জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। কিন্তু গুলি চলল এই প্রথম। সিপিএম নেতৃত্ব জানান, জমির মালিক সফিউদ্দিন ও তাঁর তিন ভাই। ওঁরা প্রত্যেকে তাঁদের সমর্থক। এলাকার এক তৃণমূল সমর্থক মালিকানা দাবি করলে মামলাও হয়। কিন্তু এর পরেও তৃণমূল সমর্থকরা জমি দখলের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে জখম ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হক, জয়মুল হক, আবিদ হোসেন, সাফরুল ইসলাম এবং আনারুল হক। কামরুল ও জয়মুলকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএম সমর্থক সফিউদ্দিন ও তাঁর ছেলে আনারুল হক অভিযোগ করেন, অন্তত ২৫ জন তৃণমূল সমর্থক ট্রাক্টর নিয়ে এ দিন সকালে তাঁর দখলে থাকা জমিতে যায়। চাষ দিতে শুরু করে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে তাঁকে জানায়। তিনি ছেলেকে নিয়ে দৌড়ে যান। কেন জমি চাষ করছে জানতে চাইলে তৃণমূলের সমর্থকরা মারধর শুরু করে। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁদের উপরেও হামলা শুরু হয় বলে অভিযোগ। সফিউদ্দিন বলেন, “তৃণমূলের লোকজন হাঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করে। আমরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এর পরে ওঁরা ট্রাক্টর নিয়ে পালিয়ে যায়।” উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বিধায়ক তথা দলুয়া এলাকার তৃণমূল নেতা হামিদূল রহমান অবশ্য সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মহিমুদ্দিনের নিকট আত্মীয়রা অন্যায় ভাবে জমি দখল করে রেখেছে। তিনি বলেন, “ওই জমির নিয়ে কয়েক বার ঝামেলাও হয়েছে। এ দিন আমাদের সমর্থকেরা জমি দখল নিতে গেলে সিপিএম সমর্থকরা হামলা চালায়। ওঁরা বন্দুক লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.