|
|
|
|
টাকি পুরসভা |
বাম-কংগ্রেস ‘আঁতাঁত’ পরাস্ত, বোর্ড তৃণমূলেরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • টাকি |
দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পরিচালিত টাকি পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল বামেরা। সমর্থন জানায় কংগ্রেস। অনাস্থায় হেরেও যান তৃণমূলের পুরপ্রধান। কিন্তু নতুন বোর্ডে পুরপ্রধানের পদ নিয়ে কংগ্রেস-সিপিএমের দ্বন্দ্বে ফের পুরবোর্ডের দখল পেল তৃণমূলই!
অনাস্থায় ৯-৭ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। সেই পুরবোর্ড সোমবার তৃণমূল ফের দখল করল ১০-৫ ব্যবধানে জিতে। এক জন সদস্যের ভোট নষ্ট হয়েছে। ফলেই স্পষ্ট, তৃণমূল তিনটি ভোট অতিরিক্ত পেয়েছে। দলীয় নির্দেশের বাইরে গিয়ে তৃণমূলকে কারা সমর্থন করল, সেই প্রশ্নে বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মৃণাল চক্রবর্তীর বক্তব্য, “টাকার খেলা হওয়ায় কয়েক জন বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তদন্ত হবে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবী ঘোষালের দাবি, “সিপিএমের সমর্থনেই এ যাত্রা বোর্ড টিকিয়ে রাখল তৃণমূল!” |
|
ফের টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে
তৃণমূলের সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে উল্লাস। ছবি: নির্মল বসু। |
টাকি পুরসভার আসন বিন্যাস: তৃণমূল-৬, সিপিএম-৬, কংগ্রেস-২, সিপিআই-১ ও নির্দল-১। ২৩ জুলাই আস্থাভোটে হেরে অপসারিত হন পুরপ্রধান। প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেস-বামেদের টানাপোড়েন শুরু হয়। বামেদের ৭টি আসন থাকায় তাদের থেকে পুরপ্রধান নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল কংগ্রেসের সমর্থন। অন্য দিকে, কংগ্রেস দাবি করে, তাদের সমর্থনেই বামেরা অনাস্থায় জয়ী হওয়ায় পুরপ্রধানের পদ তাদের প্রাপ্য। এমনকী, উপপ্রধানের পদেরও দাবি জানায় তারা।
এই টানাপোড়েনে পুরপ্রধান পদে প্রার্থী হিসাবে ফের সোমনাথবাবুকে দাঁড় করায় তৃণমূল। অন্য দিকে, কংগ্রেসের অরুণ ঘোষের নাম প্রস্তাব করেন সিপিএম কাউন্সিলর সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তা সমর্থন করেন তাঁদেরই মৃণালকান্তি ঘোষ। গোপন ব্যালটে ভোটাভুটির পরে দেখা যায়, সোমনাথবাবু ১০-৫ ভোটে জিতেছেন। সোমনাথবাবুর বক্তব্য, “কংগ্রেস-সিপিএম চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। মানুষ ওদের উচিত জবাব দিয়েছে!” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক ও খাদ্যমন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সিপিএমের হাত শক্ত করতে কংগ্রেস বোর্ড ভেঙে ঠিক করেনি। দেরিতে হলেও ভুল বুঝতে পারায় সংশোধিত হয়েছে।” |
|
|
|
|
|