ত্রিফলা আলো নিয়ে তদন্ত দাবি, বিক্ষোভ |
কলকাতার রাস্তায় ‘ট্রাইডেন্ট’ বা ত্রিফলা আলো লাগানোটা কোনও ‘জরুরি’ কাজ বলে মনে করে না বাম শিবির। তাই দরপত্র ছাড়াই ওই বাতিস্তম্ভের বরাত কেন দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে বাম কাউন্সিলরেরা সোমবার পুরসভায় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ত্রিফলা আলো লাগানোর ক্ষেত্রে অনিয়মের যে-অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচি বলেন, “এত বড় অনিয়মের পরেও মেয়র তা ঢাকতে চাইছেন। পুরসভার পদ্ধতি না-মেনে দরপত্র ছাড়া ২৭ কোটি টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে।” তবে বিরোধীদের বক্তব্যকে আমল দিতে চাননি মেয়র। তিনি বলেন, “কোন ক্ষেত্রে আমরা কোন পদ্ধতি মানব, তা কি বিরোধীরা ঠিক করে দেবেন?” একই সঙ্গে মেয়র অবশ্য বলেন, “প্রশাসনিক পদ্ধতিতে কোনও অসুবিধা থাকতে পারে। পুরো ফাইল চেয়েছি। দরকার হলে তদন্ত কমিটি গড়তে কোনও অসুবিধা নেই।” পুরসভা সূত্রের খবর, দরপত্র এড়াতে ২৭ কোটি টাকার ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসানোর পুরো কাজটিকে ৫৪০ ভাগে ভাগ করা হয়। এই বিভাজনের মাধ্যমে দরপত্র এড়ানোর বিষয়েই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে পুর অর্থ দফতরও আপত্তি তুলেছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। সম্প্রতি ওই কাজের বিল সংক্রান্ত ফাইলগুলি অনুমোদনের জন্য পুর কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে তিনি সই করেননি। উল্টে ওই কাজের বরাত দেওয়া থেকে বাতিস্তম্ভের দর নির্ধারণ নিয়ে ডিজি (আলো)-কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন কমিশনার। তার পর থেকেই এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। রূপাদেবী বলেন, “এই আলো বসানোটা জরুরি কাজের মধ্যে পড়ে না। তা-ও দরপত্র না-ডেকে তড়িঘড়ি কেন বসানো হল, জানতে চেয়েছিলাম মেয়রের কাছে। তিনি খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন।” এই নিয়ে কমিশনারকে চিঠিও দেন পুরসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান, সিপিএম কাউন্সিলর দীপঙ্কর দে।
|
মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে কলকাতায় এনে খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শাহবাজ ওরফে নুর মহম্মদকেআদালতে তুলল সিআইডি। শাহবাজকে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যজিস্ট্রেট ফটিকচাঁদ মণ্ডল। বছরখানেক আগে মুম্বই পুলিশের একটি মামলায় গ্রেফতার হয় শাহবাজ। তার আগেই অবশ্য খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলার চার্জশিটে তাকে ফেরার দেখিয়েছিল সিআইডি। পরে মুম্বই পুলিশের হাতে তার গ্রেফতারির খবর শুনে কলকাতায় আনতে তৎপর হয় সিআইডি। খাদিম-কর্তা পার্থ রায়বর্মন ২০০১ সালের ২৫ জুলাই তিলজলা থেকে অপহৃত হন। সেই মামলার প্রথম পর্যায়ের বিচারে ২০০৯ সালের ২০ মে আফতাব আনসারি-সহ পাঁচ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হয়। সাক্ষ্য দেন ১৩৯ জন। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ জানান, পুলিশের খাতায় ও চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে শাহবাজ, আরশাদ, মোজাম্মেল, তারিক, ইশাকের নাম থাকলেও তারা তখন ফেরার ছিল।
|
ঝালাইয়ের একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। সোমবার, কড়েয়া থানার তিলজলা মসজিদবাড়ি লেনে। দোকানের এক কর্মী-সহ তিন জন জখম হন। মৃতের নাম জেবা পরভিন (১০)। বাড়ি তিলজলায়। পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই দোকানে কার্বাইড গ্যাসের একটি সিলিন্ডার আচমকা ফাটে। তখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল জেবা। গুরুতর আঘাত পায় সে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
|
গার্ডেনরিচের আক্রা ফটক থেকে হাওড়া পর্যন্ত ১০টি বিশেষ বাস পরিষেবা চালু হল সোমবার। পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “ওখানে যাতায়াত সমস্যায় মানুষ জেরবার। বাস নেই। রাস্তা ভাঙা। উৎসবের সময়ে সমস্যা বাড়ে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাক্চার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের এই পরিষেবা চলবে রমজান থেকে বড়দিন পর্যন্ত।”
|
বাঘাযতীনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ বামেরা |
নিজেদের হাতে থাকা বাঘাযতীন কলোনি কমিটির নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারল না বামফ্রন্ট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরোনোর পরে দেখা যায়, বামেদের কোনও প্রার্থী নেই। তবে তৃণমূল মোট ২৪টি আসনের সব ক’টিতে এবং কংগ্রেস অল্প কয়েকটি প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূলের জয় ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। |