বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শনির শীতল উপগ্রহেও
প্রাণের আশায় বিজ্ঞানীরা

ওড়ায় মাত্র ৩১০ মাইল। ঘুরে বেড়াচ্ছে সূর্য থেকে মাত্র ১০০ কোটি মাইল দূরে। অথচ বরফে মোড়া ছোট্ট এই মহাজাগতিক বস্তুকে ঘিরেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নাম এনসেলাডাস। ঠিকানা শনির ঠিক পাশে। ১৭৮৯ সালে বিজ্ঞানী উইলিয়াম হারশেল শনির অন্যতম এই উপগ্রহটি আবিষ্কার করেন। নাসার দাবি, উপগ্রহটিতে প্রাণের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।
শনির উপগ্রহ এনসেলাডাস (চিহ্নিত)। ক্যাসিনি থেকে তোলা বিবর্ধিত চিত্র (ডান দিকে)।
গত আট বছর ধরে শনিকে ঘিরে ঘুরে চলা রোবট চালিত মহাকাশযান ক্যাসিনি থেকে তোলা ছবি দেখে তাক লেগে গিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের। তাঁদের দাবি, তিনশো কোটি ডলারের ক্যাসিনি অভিযানে জানা গিয়েছে বায়ুমণ্ডল রয়েছে এনসেলাডাসের। নিয়মিত বাষ্প আকারে জলের কণা উপগ্রহটি থেকে ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে। শুধু তাই নয়, এই জলীয় বাষ্পের মধ্যে নাকি মিশে থাকে প্রোপেন, ইথেন, অ্যাসিটিলিনের মতো যৌগ যা প্রাণের অন্যতম প্রাথমিক উপাদান হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। নাসার মহাকাশ-জীববিজ্ঞানী ক্রিস ম্যাককের মতে, “জল বাষ্পীভূত হচ্ছে মানেই উপগ্রহটিতে তাপের উৎস রয়েছে। সেই সঙ্গে জৈব যোগের উপস্থিতি উপগ্রহটিতে প্রাণ থাকার সপক্ষে জোরদার প্রমাণ দেয়।”
ক্রিস জানিয়েছেন, সম্ভবত পৃথিবীর মতোই গলিত ম্যাগমার স্রোতই এনসেলাডোসের তাপের উৎস। তাই এনসেলাডাস থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে চান তিনি। হিসেব মতো এনসেলাডাসে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে মহাকাশযানের পৃথিবীতে ফিরে আসতে সময় লাগবে অন্তত ২০ বছর! খরচের হিসেব করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সৌরজগতের ভিতরেই এমন ‘প্রাণের খনিকে’ হাতছাড়া করতে নারাজ তাঁরা। তাই এ বার ‘অপরেশন এনসেলাডাস’ শুরু করতে বদ্ধপরিকর নাসা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.